ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ১০০ দিন

Trump 100 Days

২০২৫ সালের শুরু থেকেই বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা এবং অনিশ্চয়তা যেন আরও ঘনীভূত হয়েছে। এই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প—যিনি দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের ১০০ দিন পূর্ণ করছেন। তবে তার এই দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু থেকেই চমকপ্রদ ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পূর্ণ। শুল্ক যুদ্ধ থেকে শুরু করে বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ, ইউক্রেন সংকটে জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে কানাডার সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি—সব কিছু মিলিয়ে তার প্রশাসন এক নতুন বাস্তবতায় বিশ্ব রাজনীতিকে দাঁড় করিয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমরা বিশ্লেষণ করেছি ট্রাম্পের এই ১০০ দিনের প্রধান ঘটনাগুলো এবং ভবিষ্যতের জন্য এর কী তাৎপর্য রয়েছে।

১. শুল্ক-যুদ্ধের অস্থিরতা

ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে আলোচিত পদক্ষেপগুলোর একটি হল বাণিজ্যিক শুল্ক আরোপ ও বাতিলের অনিশ্চিত নীতি। তিনি বারবার চীন, ইউরোপ ও কানাডার পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করে বাজারে ধাক্কা দিয়েছেন। কখনো হঠাৎ করে এই শুল্ক প্রত্যাহার আবার কখনো নতুন করে বাড়ানো—এই ধারাবাহিকতাহীনতা বৈশ্বিক ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করেছে। বাজারে এই নীতিগুলো কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে, তা বিনিয়োগকারীরা বোঝার আগেই নতুন ঘোষণা চলে আসছে। এ ধরনের শুল্ক-চাপ সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে, উৎপাদন খরচ বাড়াচ্ছে এবং মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে। এই অস্থিরতা ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

২. ইউক্রেন ইস্যুতে জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বন্দ্ব

ট্রাম্পের একাধিক মন্তব্য ও সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বিব্রত করেছে। ট্রাম্প প্রকাশ্যে ইউক্রেন সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং ইউরোপীয় মিত্রদের অবজ্ঞা করে রাশিয়ার সঙ্গে আলাদা আলোচনায় যাওয়ার ইঙ্গিত দেন। এর ফলে ইউক্রেন ও ইউরোপের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়। ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ একতরফা এবং বিতর্কিত ছিল। তিনি ইউরোপীয় মিত্রদের বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছেন, যা ন্যাটো জোটের ভেতরেও বিভক্তি তৈরি করেছে। ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা সমর্থনের ভবিষ্যত এখন অনেকটাই অনিশ্চিত, এবং এতে রাশিয়ার উপর চাপ কমে যেতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

৩. অভিবাসন ও পর্যটনে নেতিবাচক ধাক্কা

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিগুলো প্রথম মেয়াদের মতো এবারও কঠোর। তিনি একাধিক নির্বাহী আদেশে সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানো, অভিবাসী কোটা কমানো এবং কিছু মুসলিম দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এ ছাড়া তিনি পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া জটিল করে তুলেছেন, যার ফলে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা হঠাৎ কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের আগমন হ্রাস পেয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিমানবন্দর ও সীমান্তে কড়াকড়ি বেড়েছে এবং আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এই নীতিগুলো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রশ্নে জনপ্রিয় হলেও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।

৪. নির্বাহী আদেশের বন্যা

দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প ১০০ দিনের মধ্যেই ২৫টির বেশি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এই আদেশগুলো ছিল চমকপ্রদ এবং অনেক ক্ষেত্রেই বিতর্কিত। উদাহরণস্বরূপ, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নীতিমালাকে দুর্বল করা, কিছু সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প বাতিল করা, সরকারি ব্যয় হ্রাস করা এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নতুন নিয়ন্ত্রণ আরোপ ইত্যাদি। ট্রাম্পের সমর্থকেরা এগুলোকে দৃঢ় নেতৃত্বের নিদর্শন হিসেবে দেখলেও সমালোচকরা বলছেন, এসব সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদে গণতান্ত্রিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। হঠাৎ এসব আদেশের ফলে আমলাতন্ত্র ও আদালতেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রশাসনের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

৫. কানাডার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি

ট্রাম্প সম্প্রতি এক ভাষণে বলেন, “কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য বানানো উচিত।” এই বক্তব্য কানাডায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি একে ‘আগ্রাসী এবং অসম্মানজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং মার্কিন নির্ভরতা কমিয়ে কানাডার অর্থনীতি পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই মন্তব্য কানাডার আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিবারেল পার্টি এখন জনমত জরিপে এগিয়ে, যেখানে জানুয়ারিতে তারা ২৪ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল। মার্কিন-শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা এসেছে। এর ফলে উত্তর আমেরিকায় একটি নতুন রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে, যা অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।

৬. গাজা দখলের প্রস্তাব: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি

ট্রাম্প সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণভাবে দখলে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।” এই মন্তব্য বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক মহলে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সময় এমন প্রস্তাব নতুন উত্তেজনার জন্ম দেয়। এই বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ফিলিস্তিনপন্থী রাষ্ট্রগুলো এটিকে আগ্রাসী ও দখলদার মনোভাবের প্রতিফলন বলেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও এ নিয়ে দ্বিধা দেখা দিয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, গাজা দখলের মতো পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি আরব বিশ্বের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হতে পারে।

৭. গ্রিনল্যান্ড দখলের ভাবনা: পুরনো ইচ্ছার নতুন উচ্চারণ

গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করার ভাবনা আবার সামনে এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও সম্পদ রক্ষায় গ্রিনল্যান্ডকে আমাদেরই অংশ হওয়া উচিত।” যদিও ২০১৯ সালে ডেনমার্ক এই প্রস্তাবকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘অসম্মানজনক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল, তবে ট্রাম্প ফের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করেছেন। আর্টিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান রুশ ও চীনা প্রভাব রুখতেই ট্রাম্পের এমন ভাবনা বলে অনেকের ধারণা। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ডেনমার্ক ইতোমধ্যে এর বিরোধিতা জানিয়েছে। এই প্রস্তাব কেবল রাজনৈতিক নয়, আন্তর্জাতিক আইন ও অঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়েও প্রশ্ন তোলে।

৮. প্রযুক্তি জায়ান্টদের কঠিন সময়

২০২৫ সালের শুরুটা প্রযুক্তি খাতের জন্য সুবিধাজনক হয়নি। “ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন” নামে পরিচিত অ্যাপল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, মেটা, এনভিডিয়া, গুগল ও টেসলা—এই সব বড় কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য কমেছে। আসন্ন ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে বাজার তাকিয়ে আছে। যদিও অনেক কোম্পানির আয় বেড়েছে, বিনিয়োগকারীরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকে। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি ও প্রযুক্তি নীতির অস্থিরতার কারণে কর্পোরেট আস্থা কিছুটা নড়বড়ে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে যে সরকার প্রযুক্তি খাতে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করতে পারে, যা উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করবে।

৯. চাকরি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য আসছে

আগামী সপ্তাহে এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে কতগুলো নতুন চাকরি সৃষ্টি হয়েছে এবং ভোক্তা মূল্যসূচক কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে—এই তথ্য প্রকাশ পাবে। মার্চ মাসে ২,২৮,০০০ চাকরি তৈরি হলেও বিশ্লেষকেরা বলছেন এপ্রিলের সংখ্যা হবে কম, আনুমানিক ১,৩০,০০০। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার স্থিতিশীল রাখবে নাকি বাড়াবে, তা নির্ভর করবে এই পরিসংখ্যানের ওপর। অর্থনীতি শ্লথ হলে, তা ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। আবার, ভালো ফলাফল তার অর্থনৈতিক নীতিকে শক্তি দেবে। কর্মসংস্থান ও মূল্যস্ফীতির এই তথ্য তাই রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১০. যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক

বাণিজ্য যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির পরে, ট্রাম্প প্রশাসন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক করতে চাচ্ছে। সম্প্রতি চীন ১২৫% শুল্ক আরোপিত কিছু মার্কিন পণ্যে ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। সামাজিক মাধ্যমে একটি পণ্যের তালিকাও ঘুরছে, যা ব্যবসায়িক মহলে আশার সঞ্চার করেছে। একই সময়ে, ট্রাম্পের ট্রেজারি সেক্রেটারি জাপানের মুদ্রানীতিতে হস্তক্ষেপ না করার সংকেত দিয়েছেন। এর ফলে টোকিওর ওপর চাপ কিছুটা কমেছে। এসব পদক্ষেপ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন এখন হয়তো অর্থনৈতিক মেরুকরণ কিছুটা কমিয়ে কূটনৈতিক সমঝোতার দিকে ঝুঁকছে।

১১. ইউরোপ: বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়?

যুক্তরাষ্ট্রের অস্থিরতার মধ্যেই ইউরোপ এখন অনেক বিনিয়োগকারীর জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ইউরো ও ইউরোপীয় সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ বেড়েছে। মে মাসে প্রকাশিতব্য মুদ্রাস্ফীতি ও উৎপাদন সূচক দেখাবে, এই আশ্রয় কতটা স্থায়ী হতে পারে। ইউরোপে মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হার কমানোর সুযোগ দিচ্ছে। তবে উৎপাদন খাতে আস্থা কমে গেছে, বিশেষ করে জার্মানির অর্থনীতিতে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুর্বল পরিসংখ্যান ইউরোর মান তেমন প্রভাবিত না করলেও দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হতে পারে।

১২. অভিবাসন নীতি: মার্কিন সমাজে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত

ট্রাম্প প্রশাসন তার দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন নীতিকে আরও কঠোর করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অভিবাসন সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে, ট্রাম্প সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বিশেষ করে, তিনি মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ, পরিবার আলাদা করা এবং অভিবাসী ক্যাম্পগুলোর বিষয়ে নতুন নিয়মকানুন চালু করেছেন। তার এই কঠোর নীতিগুলোর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আসা শরণার্থীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যা মানবাধিকার সংগঠনগুলো থেকে তীব্র প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছে। আরও একটি বিতর্কিত পদক্ষেপ ছিল, যে সব দেশ থেকে মুসলিমরা প্রবেশ করতে পারবে না, সেই ধরনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা। অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের এমন আচরণ যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক শান্তির প্রশ্নে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে এবং এটি অনেক বিদেশী নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে, যারা ইতোমধ্যে আমেরিকাতে বসবাসরত।

পরবর্তী ১০০ দিন: স্থিতিশীলতা না অরাজকতা?

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিন ছিল চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ। শুল্কনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবং নির্বাহী আদেশের ঝড় এক অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে—পরবর্তী ১০০ দিন কেমন যাবে? ট্রাম্প কি আরও ধারে বসে শাসন করবেন, নাকি স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবেন? বিনিয়োগকারীরা স্বচ্ছতা ও পূর্বাভাসযোগ্যতা চান, মিত্রদেশগুলো পুনরায় জোটবদ্ধ হতে চায়। তবে ট্রাম্পের স্বভাবসুলভ আচরণ এই আশাকে বারবার ধাক্কা দিচ্ছে। অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের ক্ষেত্রে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারলে, তার নেতৃত্ব আমেরিকাকে আরও বিচ্ছিন্ন ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে।