দেশে প্রবাসী আয় আসার ধারা ভেঙে গিয়েছে। গত সপ্তাহে দেশে মাত্র ১৩ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন কারণে এ হ্রাস পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি ছুটি, ইন্টারনেট বন্ধ এবং কারফিউ। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ১৯-২৩ জুলাই সময়ে সরকারি ছুটি ও সাধারণ ছুটির কারণে ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ ছাড়া টানা ৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এবং ১০ দিন মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা ছিল না। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ব্যাংকের অনলাইন লেনদেনও বন্ধ ছিল। পাশাপাশি গত শুক্রবার রাত থেকে এখনও কারফিউ জারি রয়েছে। এই সাত দিনে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে মাত্র ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
এর আগে গত জুনে ২৫৪ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। জুনে দেশে যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল, তা ছিল গত তিন বছরের মধ্যে একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।
প্রবাসী আয় কমার ফলে দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে। প্রবাসী আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া প্রবাসীরা দেশে পাঠানো অর্থ দিয়ে পরিবারের খরচ চালায়, ব্যবসা-বাণিজ্য করে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে অর্থায়ন করে।
এ সংকট কাটাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত বাড়াতে প্রবাসী আয়সহ বিদেশ থেকে অর্থ আনতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় তদারকি অনেক কমিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের অর্থ বৈধ পথে দেশে আনার ক্ষেত্রে যে নিয়মকানুন রয়েছে, তা অনেক শিথিল করেছে। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মুখ তুভড়ে পড়েছে।