সারা দেশের নাগরিকদের জন্য সব সরকারি সেবা এক ঠিকানায় পৌঁছে দিতে ‘প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়’-এর উদ্যোগে চালু হতে যাচ্ছে একটি নতুন সেবা আউটলেট—‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, সংক্ষেপে ‘নাগরিক সেবা’।
এই আউটলেটের মাধ্যমে জনগণ ঘরে বসেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো সহজে গ্রহণ করতে পারবে। ১ মে ২০২৫ থেকে উদ্যোক্তারা এই সেবাদাতা হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে www.nagoriksheba.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা চলমান ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এই প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত করা হবে।
প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০০টি সেবা নিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি আরও বলেন, “এটি শুধু ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের গতি বাড়াবে না, বরং ন্যাশনাল ইন্টার-অপারেবিলিটি ফ্রেমওয়ার্ক এবং ডেটা গভর্নেন্স কাঠামোর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাবে।”
সরকারের সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন কমপক্ষে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা নির্বাচন করে ‘নাগরিক সেবা’ কিয়স্কের মাধ্যমে তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
এই কেন্দ্রগুলো থেকে সেবা গ্রহণ করতে নাগরিকদের আর কোনো কাগজ নিয়ে সরকারি বা আধা-সরকারি অফিসে যেতে হবে না। আবেদন করা যাবে সরাসরি অনলাইনে। ব্যবহারকারী অনলাইনেই ট্র্যাকিং নম্বরসহ জানতে পারবেন তাদের আবেদন কোন পর্যায়ে আছে। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার পেছনে কাজ করবে একটি শক্তিশালী ও নিরাপদ ‘ন্যাশনাল সার্ভিস বাস’, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ডেটা বিনিময় ও আন্তঃসংযোগ (Inter-operability) নিশ্চিত করবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, “স্বাধীন উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ‘নাগরিক সেবা’ কেন্দ্র ছড়িয়ে পড়বে দেশের প্রতিটি শহর, গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে, ফলে জনগণ আর দপ্তরে নয়, সেবা পৌঁছাবে নাগরিকের দ্বারপ্রান্তে।” এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের পথে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।