অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় পৌঁছানো ৩১০ বাংলাদেশি অবশেষে দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তাদের এই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা হয় লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (IOM) যৌথ সহযোগিতায়।
ফেরত আসা বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপে পৌঁছানোর আশায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেছিলেন। সেখানে গিয়ে তাদের অনেকেই অপহরণ, নির্যাতনসহ নানামুখী ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রত্যাবাসিতদের উদ্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুরোধ জানায়, যেন তারা লিবিয়ায় থাকার সময়কার সেই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সম্ভাব্য ঝুঁকিতে থাকা সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন।
IOM-এর পক্ষ থেকে ফেরত আসা প্রত্যেককে পথখরচা, খাদ্যসামগ্রী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
এর আগে, সোমবার (১ ডিসেম্বর) আরও ১৭৩ বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ভোর ৬টায় তারা ঢাকায় পৌঁছান। লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং IOM একসঙ্গে কাজ করছে।
