‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে মানুষের ঢল | March for Gaza

March for Gaza movement

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকায় আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা‘ কর্মসূচিতে মানুষের ঢল নামে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার মানুষ। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফিলিস্তিনের পতাকা আর প্রতিবাদী স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা।

আজ দুপুরে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী ও শায়খ আহমাদুল্লাহ এই মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

আজহারী লিখেছেন:

‘মজলুম গা#জাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে, এই মুহূর্তে আছি ‘‘মার্চ ফর গাজা’’র পথে। মানবতার এ মিছিলে আপনিও আসুন প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে।’

অন্যদিকে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন:

‘মজলুম গা#জাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে এই মুহূর্তে আছি ‘মার্চ ফর গাজা’র পথে। মানবতার এ মিছিলে আপনিও আসুন সন্তানকে সাথে নিয়ে।’

March for Gaza মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা, মাফলার, টি-শার্ট, মাথার ব্যান্ড এবং নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড। উদ্যানমুখী মিছিলগুলোতে উচ্চারিত হয় নানা প্রতিবাদী স্লোগান—
“নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর”,
“ইসরাইলি পণ্য, বয়কট বয়কট”,
“ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ”,
“Free, Free Palestine” 
“Stop Genocide in Gaza”
“From the river to the sea, Palestine will be free.”
— এইসব স্লোগানে প্রকম্পিত হয় সমাবেশস্থল।

‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলন, তাবলীগ জামাত, আহলে হাদীস, হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাকুল মাদারিস, দারুন্নাজাত মাদরাসাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়াও জাতীয় দলের ক্রিকেটার, নাট্যব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট আলেম এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ সেখানে উপস্থিত হন।

সমাবেশস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঁচটি প্রধান সড়কে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয় প্রত্যেক রুটে। সন্দেহজনক কাউকে তল্লাশি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

আয়োজক সংগঠনের এক মুখপাত্র জানান, “এই প্রথম দেশের সব স্তরের মানুষ এক কাতারে এসে ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।”

সমাবেশে বক্তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান এবং বিশ্ব বিবেক জাগ্রত করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এমন প্রতিবাদ আরও জোরদার হবে বলে জানান।