ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে সাড়া, সোনার দাম ছুঁতে পারে রেকর্ড ৩,৭০০ ডলার!

gold price

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে সোনার দামে নতুন করে ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্স পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩,৭০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। এর আগের পূর্বাভাসে তারা সোনার সম্ভাব্য দাম ৩,৩০০ ডলার বলে উল্লেখ করেছিল।

গোল্ডম্যান স্যাক্সের মতে, বিশ্ববাজারে সোনার দাম ৩,৬৫০ থেকে ৩,৯৫০ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করতে পারে। রয়টার্সের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, যদি বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়ে, তবে সোনার দাম ৩,৮৮০ ডলার পর্যন্তও উঠতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোনাভিত্তিক এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি এই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

তবে গোল্ডম্যান স্যাক্স সতর্ক করে জানিয়েছে, যদি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা কেটে যায়, তাহলে সোনার ইটিএফে বিনিয়োগ পূর্বাভাস অনুযায়ী হবে না। সে ক্ষেত্রে দাম ৩,৫৫০ ডলার পর্যন্ত সীমিত থাকতে পারে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর গড় মাসিক সোনার চাহিদা ৮০ মেট্রিক টনে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগের বছরে এই চাহিদা ছিল ৭০ মেট্রিক টন। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বব্যাপী ৪,৯৭৪ টন সোনা বেচাকেনা হয়েছে। এর মধ্যে পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একাই কিনেছে ৯০ টন সোনা, যা ছিল বছরের সর্বোচ্চ।

গোল্ডপ্রাইস ডট অর্গের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে বিশ্ববাজারে সোনার দাম সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্সে ৩,৩১৫ ডলার, যা এক ডলারের কম পতন। গত এক মাসে সোনার দাম বেড়েছে ২৭৯ ডলার এবং গত এক বছরে বেড়েছে ৯২৬ ডলার।

সোনার চাহিদা এখন আর শুধু গয়নার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর রিজার্ভ বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায়েও সোনার বার এবং ইটিএফ-এ বিনিয়োগ বেড়েছে। বৈশ্বিক বাজারের এই প্রবণতা বাংলাদেশের বাজারেও প্রভাব ফেলছে, যেখানে সোনার দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।