সিলেটে সাবেক মেয়র আরিফুল হক — ভারপ্রাপ্ত মেয়র হচ্ছেন কি না, নগরবাসীর

Sylhet ariful haque acting mayor

সাবেক মেয়র এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীকে ঘিরে নতুন করে আলোচনায় মেতে উঠেছে সিলেট নগরবাসী। হঠাৎ করে শহরজুড়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে—তিনি নাকি আবারও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। এ নিয়ে নগরবাসীর কৌতূহল যেমন বাড়ছে, তেমনি আরিফুল হকের বাসভবনে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। সোমবার দিনভর ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন তিনি নিজেই, আগতদের নানা প্রশ্ন ও শুভেচ্ছার জবাব দিতে।

স্মরণযোগ্য যে, ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে হারিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। ২০১৮ সালেও বিএনপি’র দলীয় প্রতীক নিয়ে তিনি মেয়র নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তবে ২০২৩ সালের নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের কারণে তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। সে বছর ২০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তার অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হন, তবে গণ-অভ্যুত্থানের পর তিনি দেশ ত্যাগ করেন।

এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে সিলেট সিটি করপোরেশনের সকল জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হয়। ফলে গত আট মাস ধরে জনপ্রতিনিধিশূন্য অবস্থায় স্থবির হয়ে পড়েছে করপোরেশনের কার্যক্রম। প্রশাসনিকভাবে সিটি পরিচালনার দায়িত্ব এখন বিভাগীয় কমিশনারের ওপর, কিন্তু তিনি অন্য প্রশাসনিক দায়িত্বে ব্যস্ত থাকায় নগর উন্নয়ন কার্যক্রম কার্যত থেমে আছে। এ অবস্থায় সিটির কর্মকর্তারাও বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছ থেকে। এমনকি বাতিল হওয়া একটি প্রকল্প পুনর্গঠন করে ৫০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প অনুমোদনের জন্যও মন্ত্রণালয়ে তদবির করছেন তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ণ করপোরেশনগুলোতে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সিলেটসহ চারটি সিটিতে আলাদা প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে, তার অনুমোদন সাপেক্ষেই চূড়ান্ত হবে নিয়োগ।

সিলেটবাসী এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, শেষ পর্যন্ত আরিফুল হক চৌধুরী আবারো নগরপিতা হিসেবে ফিরছেন কি না—তা জানার জন্য।