বার্সেলোনা-ইন্টার মিলান: চ্যাম্পিয়নস লিগে রোমাঞ্চকর ৩-৩ ড্র

Barcelona-vs-Inter

অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মৌসুমের রেকর্ডসংখ্যক ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ফুটবলপ্রেমীরা উপভোগ করলেন এক ঐতিহাসিক রাত। বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের হাই-ভোল্টেজ লড়াই শেষ হয়েছে রোমাঞ্চকর ৩-৩ গোলে, যা অনেক দিন মনে রাখবেন দর্শকরা।

ম্যাচের শুরুতেই নাটক! মাত্র ৩০ সেকেন্ডে চোখ ধাঁধানো ব্যাক হিল গোলে ইন্টারকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম—যা চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গোল। এরপর ২১তম মিনিটে ডামপ্রিসের অসাধারণ ওভারহেড কিকে ২-০তে এগিয়ে যায় ইন্টার।

কিন্তু হাল ছাড়েনি বার্সেলোনা। মাত্র ১৭ বছর বয়সী ইয়ামাল ২৪তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় ইন্টারের পাঁচজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জালে বল জড়ান দুর্দান্ত শটে। এই চোখজুড়ানো গোলে তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার রেকর্ড গড়েছেন, ছাড়িয়ে গেছেন এমবাপ্পেকেও। তাঁর গোল দেখে মুগ্ধ হয়ে স্ন্যাপচ্যাটে পোস্ট করেছেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আর্লিং হলান্ড, লেখেন, “এই ছেলেটা অবিশ্বাস্য।”

৩৮তম মিনিটে ফেরান তরেসের গোলে ২-২ সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার পাসে গোল করে তরেস, আর এই অ্যাসিস্টে রাফিনিয়া এক মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে ২০-তে পৌঁছে ছুঁয়ে ফেলেন লিওনেল মেসির রেকর্ড।

বিরতির পরেও থেমে থাকেনি উত্তেজনা। ৬৪তম মিনিটে ডামপ্রিস ফের গোল করে ইন্টারকে এগিয়ে দেন ৩-২ ব্যবধানে। এটি ছিল ম্যাচে তাঁর তৃতীয়বার গোল কিংবা অ্যাসিস্টে জড়িত থাকা, যা ডাচ খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথম। তবে ৬৬তম মিনিটেই আবারো সমতা ফেরায় বার্সেলোনা। কর্নার থেকে আসা বল ‘ডামি’ করেন ইয়ামাল, আর ফাঁকায় পাওয়া বল রকেট গতির শটে জালে পাঠান রাফিনিয়া। বল ক্রসবারে লেগে সোমারের পিঠে গিয়েও জালে ঢুকে যায়।

অসাধারণ উত্তেজনায় ভরপুর এই ৯০ মিনিট শেষে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে ১৯৯৯ সালের পর এত বেশি গোলের ড্র ম্যাচ আর দেখা যায়নি।

এখন সবকিছু নির্ধারিত হবে দ্বিতীয় লেগে, সান সিরোতে। তবে একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়—এই ম্যাচ ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবল ইতিহাসের রোমাঞ্চকর অধ্যায়ে।