ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধঃ কার কত ক্ষতি

india-pakistan air conflict rafale loss

গত ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতীয় বিমান বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি স্বল্প-মেয়াদী কিন্তু উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন সামরিক অভিযানে নামে। ২৩ মিনিটের এই হামলায় তারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৯টি বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানায়।

ফরাসি নির্মাতা দাসোর রাফাল যুদ্ধবিমান ছিল ভারতের এই অভিযানের মূল অস্ত্র। এসব বিমান স্ক্যাল্প ইজি ক্রুজ মিসাইল এবং এএএসএম হ্যামার বোমা দিয়ে সজ্জিত ছিল, যেগুলো ৫৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।

পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করতে ভারত ইসরায়েলি প্রযুক্তির হারোপ ও স্কাইস্ট্র্যাইকার ড্রোন ব্যবহার করে। এগুলো শুধু হামলা নয়, বরং রাডার ও প্রতিরক্ষা প্রতিক্রিয়ার দুর্বলতা চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়।

অভিযানের পাল্টা জবাবে ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত পাকিস্তান সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়। পাকিস্তান এ সময় তার চীনা নির্মিত জে-১০সি যুদ্ধবিমান দিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালায়, সজ্জিত ছিল দূর-পাল্লার পিএল-১৫ মিসাইল দিয়ে। একই সঙ্গে কোরাল ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার সিস্টেমের মাধ্যমে ভারতের রাডার ও কমিউনিকেশন ব্যাহত করা হয়।

এই উত্তেজনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে ৭ মে রাতেই — পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এটি বাস্তব যুদ্ধে রাফালের প্রথম ধ্বংস হওয়ার ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী নজিরবিহীন। একইসঙ্গে আরও ১২টি ভারতীয় ড্রোনও ধ্বংস করা হয়।

এই ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিটের সংঘাতের প্রভাব সীমিত ছিল না কেবল আকাশপথে; তা অর্থনীতিতেও বড় আঘাত হানে।
ভারতের শেয়ারবাজারে (নিফটি ৫০ ও বিএসই সেনসেক্স) ৮২ বিলিয়ন ডলারের মূলধন উধাও হয়। উত্তর ভারতের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় বাণিজ্যিক বিমান শিল্পে দৈনিক গড়ে ৮ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়।

আইপিএল স্থগিত হয়ে টিভি সম্প্রচার, বিজ্ঞাপন ও টিকিট বিক্রিতে ৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়। সামরিক খরচ ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়, আর হারানো রাফাল যুদ্ধবিমানের মূল্য ছিল ৪০০ মিলিয়ন ডলার।
সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়ায় আরেক ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। সব মিলিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় আনুমানিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের কেএসই-১০০ সূচক পড়ে যায় ৪.১ শতাংশ, যার আর্থিক ক্ষতি ২.৫ বিলিয়ন ডলার। পিএসএল স্থগিত হয়ে সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন ক্ষতি হয় ১০ মিলিয়ন ডলার। প্রতিদিনের সামরিক খরচ ছিল ২৫ মিলিয়ন ডলার, ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহারে ব্যয় হয় আরও ৩০০ মিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের মোট ক্ষতি দাঁড়ায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার।