বজ্রপাতে দেশের চার জেলায় ১০ জনের মৃত্যু

ajker abohawer khobor

দেশের চারটি জেলায় বজ্রপাতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১১ মে) বিকেলে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় প্রাণহানির পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। মৃতদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঁচজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন এবং হবিগঞ্জ ও নওগাঁয় একজন করে রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার নাসিরনগর ও আখাউড়া উপজেলায় বজ্রপাতে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন—সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), নাসিরনগরের গোর্কণ গ্রামের শামসুল হুদা (৬৫), ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের জাকিয়া বেগম (৮), আখাউড়া উপজেলার রুটি গ্রামের সেলিম মিয়া (৬০) ও বনগজ গ্রামের জামির খাঁ (২২)। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছে।

কিশোরগঞ্জ: জেলার ভৈরব, কুলিয়ারচর ও হোসেনপুর উপজেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন তিন কৃষক। তারা হলেন—ভৈরবের শ্রীনগর গ্রামের ফয়সাল মিয়া (২৮), রসুলপুর গ্রামের ফারুক মিয়া (৬৫) এবং কুলিয়ারচরের হাজারিনগরের কবির মিয়া (২৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন হোসেনপুরের আড়াইবাড়িয়া গ্রামের আবু বকর (৬০)। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. উম্মে হাবিবা জুঁই জানান, বজ্রপাতে আহতদের হাসপাতালে আনা হলেও তাদের আগেই মৃত্যু হয়।

হবিগঞ্জ: আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের বেনিকান্দি গ্রামে বজ্রপাতে রাজু মিয়া (২০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। তিনি ওই গ্রামের তমুজ আলীর ছেলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবিড় রঞ্জন তালুকদার জানান, রাজুর পরিবারের জন্য সরকারি সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নওগাঁ: জেলার মান্দা উপজেলায় বজ্রপাতে কৃষক জিল্লুর রহমান (৪০) নিহত হয়েছেন। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে মাঠে ধান ঢাকতে গিয়ে বজ্রাঘাতে তিনি প্রাণ হারান। আহত হয়েছেন আরেক কৃষক শফিকুল ইসলাম। ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি, দোকানপাট, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সামনের দিনগুলোতেও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় কৃষক ও সাধারণ মানুষকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।