পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আগের মতো সহজে পর্তুগালে বসবাসের অনুমতি পাওয়া যাবে না। ফলে খুব সহজে বৈধ পথে টুরিস্ট বা যেকোনো ভিসা বা অবৈধ পথে পর্তুগালে প্রবেশ করতে পারলেই দেশটিতে বসবাস অনুমতি পাওয়ার সুযোগ আর থাকছে না এই আইনে । অর্থাৎ আগে কেউ টুরিস্ট ভিসা বা যেকোনো প্রকার ভিসায় বা অবৈধভাবে দেশটিতে এসে নিয়মিত হতে পারলেও এবার সেই সুযোগ বন্ধ হচ্ছে।
৩ জুন মন্টিনিগ্রো মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকারের অভিবাসন নীতি উপস্থাপন করেন। এই নতুন অভিবাসন নীতিতে ৪১টি প্রস্তাব রয়েছে, যা বর্তমানে পর্তুগালে অভিবাসনের দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেন্সির মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাও আমারো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
প্রধান পরিবর্তনগুলো
যারা পর্তুগালে ওর্য়াক পারমিটে কাজ করতে চান তাদের অবশ্যই নির্দিষ্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে হবে পর্তুগিজ কনস্যুলেটে।
শিক্ষার্থীদের জন্য পর্তুগাল সরকার আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত হওয়ার প্রক্রিয়া কী হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
পর্তুগিজ ভাষাভাষী দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য আগের নিয়মই বহাল থাকবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পর্তুগিজ কনস্যুলেটের সেবা মান উন্নত করা হবে, অভিবাসীদের জন্য পুলিশের একটি আলাদা ইউনিট তৈরি করা হবে এবং বর্ডার নিয়ন্ত্রণ আরও কার্যকর করা হবে।
কাদের জন্য খারাপ খবর?
যারা পর্যটক ভিসা (Tourist visa) বা অন্য কোন ভিসায় পর্তুগালে প্রবেশ করে নিয়মিত হতে চান নতুন নিয়ম অনুযায়ী, তাদের আর সেই সুযোগ থাকবে না। এশিয়ার দেশগুলো থেকে অভিবাসীরা বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য নিয়মিত হওয়া অনেক কঠিন হবে।
কতটা কঠিন হবে?
এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া কঠিন। নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর কতটা প্রভাব ফেলে তা পর্যবেক্ষণ করেই বলা যাবে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জন্য পর্তুগালে নিয়মিত হওয়া আগের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন হবে।