হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বিপাকে মোদি: ভারতজুড়ে ক্ষোভ, ক্ষতির মুখে সাধারণ মানুষ

hasina modi trade ban india backlash

ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে চরম রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপে পড়েছেন ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশত্যাগ করে ভারতে পালানো হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের ৯টি পণ্যের স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভে ফুঁসছে ভারতের সাধারণ জনগণ, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সমাজ।

নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় রয়েছে:

  • কাঁচা পাট
  • পাটের রোল
  • পাটের সুতা
  • একক পাট সুতা
  • একক শণ সুতা
  • একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়

এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার কারণে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিশাল লোকসানের মুখে। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, হাসিনাকে রাজনৈতিক স্বার্থে আশ্রয় দিয়ে মোদি সরকার ভারতের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে।

হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পরপরই ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করা হয়, যার মধ্যে চিকিৎসা ভিসাও বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা খাত ও পর্যটন ব্যবসা। অসংখ্য ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশি রোগী না আসায়।

এদিকে, পেট্রাপোলসহ বিভিন্ন স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত হঠাৎ করেই নেওয়া হয়েছে, এতে তারা বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। এক ব্যবসায়ী বলেন, “মোদি সরকার নিজেদের জনগণের ক্ষতি করে শেখ হাসিনার স্বার্থ রক্ষা করছে, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমেও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—“মোদি যখন নিজ দেশের জনগণেরই ক্ষতি করছেন, তখন আলাদা শত্রুর দরকার কী?”

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের পাশাপাশি ভারতীয় অর্থনীতির একটি বড় অংশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। হাসিনার রাজনৈতিক সংকট থেকে শুরু করে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য সংকট—সবই এখন মোদি সরকারের কাঁধে চেপে বসেছে।