বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোতাল্লেছ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তিনি কণ্ঠ নকল করে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে অর্থ আদায় করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বিএফআইইউ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে তিন মাসের মধ্যে মোতাল্লেছ হোসেনের নামে সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় একাধিক ব্যাংক হিসাবে জমা হয় প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। পরে কর্তৃপক্ষ তার ৯টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করে, যেখানে মোট ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেন পাওয়া গেছে। অথচ তার ঘোষিত আয় ছিল মাত্র ৩৪ লাখ টাকা।
সন্দেহ ও তদন্তের অগ্রগতি
বিএফআইইউ মনে করছে, খালেদা জিয়ার কণ্ঠস্বর নকল করে প্রতারণা করে এই অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতে পারে। তবে এই অভিযোগ এখনো যাচাই-বাছাই ও প্রমাণের পর্যায়ে রয়েছে।
এক বিএফআইইউ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “মোতাল্লেছের ব্যাংক হিসাবে সরাসরি পাচারের প্রমাণ মেলেনি। বরং তার একাধিক হিসাবে একই অর্থ ঘুরে ফিরে স্থানান্তর হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।” এজন্য তার ফ্রিজ করা হিসাব খুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মোতাল্লেছ হোসেন দাবি করেছেন, “আমি আমার নিজস্ব অর্থ ব্যবসার সুবিধার্থে নিজের বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করেছি। এটিকে ভুলভাবে অর্থ পাচার হিসেবে দেখানো হচ্ছে। একজন উচ্চপর্যায়ের সরকারি আইন কর্মকর্তা ও বিএফআইইউ কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রে আমাকে টার্গেট করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ২০ মে বিএফআইইউর প্রধান ও পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হিসাব মুক্ত করার আবেদন করেছেন এবং এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কেউ মামলা করেননি।