জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির অবস্থানের তীব্র সমালোচনা হাসনাত আবদুল্লাহ

july shonod bnp criticism hasnat

জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির অবস্থানকে ‘লেজে কুকুর নাড়ানোর মতো’ বলে কড়া সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, “বিবেচনা করার কথা কার, আর করছে কে? এই বিষয়টাই প্রমাণ করে, বিএনপি এখন আর আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে নেই।”

আজ শুক্রবার দুপুরে যশোর শহরের একটি হোটেলে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহতদের’ সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘দেশ বাঁচাতে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে আয়োজিত এ সভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি।

সভায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে হাসনাত বলেন, “আবারও একটি পাতানো নির্বাচনের দিকে হাঁটছে কমিশন। আমরা বিএনপিপন্থী বা এনসিপিপন্থী কমিশন চাই না, চাই বাংলাদেশপন্থী কমিশন।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রদের রক্তের ওপর দিয়ে আপনারা কমিশনে বসেছেন। মাঠের বাইরে থেকে খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে শেখ হাসিনা, নূরুল হুদা, ফারজানা রুপাদের মতো পরিণতি হবে।”

স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তনের অভাব নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনের আহতদের এখনো সেবা পাচ্ছে না। অথচ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিজে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশের হাসপাতাল ব্যবস্থায় যদি সত্যিই পরিবর্তন হতো, তাহলে তাঁকে বিদেশে যেতে হতো না।”

তিনি আরও বলেন, “আমলাদের সন্তানরা যদি এদেশে পড়াশোনা করত, তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন হতো। উপদেষ্টারা যদি গণপরিবহনে যাতায়াত করতেন, তাহলে যোগাযোগব্যবস্থাও উন্নত হতো।”

হাসনাত অভিযোগ করে বলেন, “৩২ নম্বরের ঘটনা এখন বলা হচ্ছে মব অ্যাকশন। আগামীতে ৫ আগস্টকেও মব বলা হবে। এরপর সবাইকে জঙ্গি বানানোর পরিকল্পনা চলছে। তাই ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই ঘোষণা’ দেওয়া হবে। সবার সেখানে অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”

তিনি দাবি করেন, পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। “তারা শুধু নির্বাচন চায়, আমরা সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন সব একসঙ্গে চাই। একটি প্যাকেজেই সবকিছু নিশ্চিত করতে হবে।”

সভায় উপস্থিত আহতরা অভিযোগ করেন, তাঁরা এখনো ঠিকমতো চিকিৎসা ও সহায়তা পাচ্ছেন না। যশোরে কোনো রাজনৈতিক দল তাঁদের পাশে দাঁড়ায়নি বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। এমনকি এনসিপি বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও কেউ তাঁদের খোঁজ নেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা সরকারি সুযোগ-সুবিধার দাবি জানান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, কেন্দ্রীয় নেতা নুসরাত তাবাসসুম এবং সাকিব শাহরিয়ার।