২০২৪ সালের দীর্ঘ জুলাই জুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যতই গড়াচ্ছিল, ততই যেন চেপে বসছিল রাষ্ট্রশক্তির নির্মমতা। রক্তাক্ত এই মাসে ১৯ জুলাই ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যেদিন শুধু শিক্ষার্থী নয়, আন্দোলনে শামিল হন অভিভাবকরাও। সন্তানদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমে আসেন।
কমপ্লিট শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে, দেশজুড়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দমন করতে ব্যাপক পুলিশি অভিযান, র্যাব, বিজিবি মোতায়েন, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলিবর্ষণ করা হয়। জুমার নামাজের পর থেকে এসব হামলা আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। সেদিন অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারান, আর মোহাম্মদপুরে হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে একজন গুরুতর আহত হন।
এই আন্দোলন রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে রূপ নেয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দেন নেতাকর্মীদের ‘সর্বাত্মক প্রতিরোধ’ গড়ে তুলতে। সরকারের তরফে আন্দোলনকে ‘রাজনৈতিক রঙ’ দেওয়ার চেষ্টাও দেখা যায়।
তীব্র এই গণআন্দোলন ঠেকাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।