রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হওয়া মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহতাব রহমান (১৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
মাহতাব ইংলিশ ভার্সনে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। দুর্ঘটনার পর চারদিন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেল এই কিশোর।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, “মাহতাবের শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল এবং শ্বাসনালিও দগ্ধ হয়েছিল। সে শুরু থেকেই ক্রিটিকাল অবস্থায় ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি।”
এই নিয়ে ইনস্টিটিউটে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ১২ জনে।
মাহতাবের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নে হলেও পরিবারটি উত্তরায় বসবাস করত। তার বাবা মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়া জানান, প্রতিদিন তিনিই ছেলেকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতেন। সোমবার দুর্ঘটনার দিনও তিনি মাহতাবকে আনতে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই ঘটে যায় সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বিধ্বস্ত বিমানের আগুনে দগ্ধ হয় মাহতাব। সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৩ জন এবং আহত হয়েছেন ১৬০ জনের বেশি।
