ইতালির বিভিন্ন শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে গভীর শ্রদ্ধা, স্মরণ এবং গর্বের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি’ ও ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস’। শনিবার (২ আগস্ট) রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি ছিল ঐতিহাসিক ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মান জানানোর এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করা হয়। এরপর সরকার কর্তৃক নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোকচিত্র ও গ্রাফিতি প্রদর্শনীর মাধ্যমে ঐতিহাসিক সেই সময়ের চেতনা উপস্থিত প্রবাসীদের সামনে তুলে ধরা হয়। এতে বাংলাদেশের নব জাগরণে যুব সমাজের অবদান বিশেষভাবে ফুটে ওঠে।
আলোচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন ইতালির প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, “একটি বৈষম্যহীন ও উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য।” তাঁরা সরকারের প্রতি প্রবাসীদের অধিকারের সুরক্ষা এবং রেমিট্যান্স ব্যবস্থাপনায় আরও স্বচ্ছতা ও সুযোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
আলোচনায় বক্তব্য দেন—বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনোমিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ আল আমিন, দূতাবাসের প্রথম সচিব আসিফ আনাম সিদ্দিক, ইতালি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ লকিয়ত উল্লাহ, সাবেক সভাপতি শাহ তাইফুর রহমান ছোটন, আমিনুর রহমান সালাম, খন্দকার নাছির উদ্দিন, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনির, লাবণ্য চৌধুরী, মিনহাজ হোসেন, ওয়াহেদুজ্জামান দিপু ও এনসিপি নেতা সালাউদ্দিন আকন।
রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক তাঁর বক্তব্যে আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। তিনি বলেন, “প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।” রাষ্ট্রদূত আরও জানান, গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ইতিবাচক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে এবং ভবিষ্যতেও প্রবাসীবান্ধব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।