সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পেরে প্রথমদিনের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে না পারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী আনিসা আহমেদ বিশেষ সুযোগে পরীক্ষায় বসার অনুমতি পাচ্ছেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পৃথক তদন্তে তার দেওয়া তথ্যের সত্যতা মেলেনি।
রোববার (১০ আগস্ট) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, “আনিসা পরীক্ষা না দিয়েও পাস করতে পারে, যদি বাংলা দ্বিতীয়পত্রে ৬৬ নম্বর পায়। তাহলে দুই পত্র মিলিয়ে ফল প্রকাশ হবে।”
এর আগে, সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়া আনিসার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে নেটিজেনরা তাকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার দাবি তোলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও প্রাথমিকভাবে সেই সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল।
তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এবং বাঙলা কলেজ কর্তৃপক্ষের তদন্তে জানা যায়, আনিসার দাবি অনুযায়ী সেদিন সকালে মায়ের স্ট্রোকের ঘটনা ও হঠাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং হাসপাতালের রেকর্ডে দেখা গেছে, তার মা নিয়মিত রোগী হলেও ওই দিন হঠাৎ ভর্তি হওয়ার তথ্যের সত্যতা মেলেনি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “যদি শিক্ষার্থী ভুয়া স্লিপ দেয়, সেটির সত্যতা যাচাই করা তদন্ত কমিটির দায়িত্ব। যতদূর জানি, সত্যতা না পাওয়ায় বোর্ড তার আর পরীক্ষা নিচ্ছে না।”
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার এহসানুল কবিরও জানান, নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই এবং প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী প্রথম পত্রে অনুপস্থিত থাকা পরীক্ষার্থী দ্বিতীয় পত্রে ৬৬ নম্বর পেলেই উভয় পত্রে পাস হিসেবে গণ্য হবে।