বৈধ না হলে নির্বাচন আয়োজনের কোনো মানে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেল নিউজ এশিয়া (সিএনএ) টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “আমার কাজ হলো গ্রহণযোগ্য, পরিচ্ছন্ন এবং উপভোগ্য নির্বাচন করা। আমরা আমাদের নির্ধারিত এসব লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি যাচ্ছি। আমাদের অনেক কিছু সংস্কার করতে হবে, কারণ আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা কারচুপি ও অপব্যবহারের শিকার হয়েছে।”
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি জানান, পাকিস্তান ও চীনের পাশাপাশি ভারতের সাথেও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে নেপাল ও ভুটান রয়েছে, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে সবাই সুবিধা ভাগাভাগি করতে পারে।
সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও কথা বলেন তিনি। ড. ইউনূস জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকে হাসিনার বিষয়টি আলোচনা করেছেন। তিনি মোদিকে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন হাসিনাকে ভারতে “চুপ রাখা” হয়।
ড. ইউনূস বলেন, “মোদি আমাকে জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ তারা করতে পারেন না। আমরা হাসিনাকে ভারত থেকে আনার জন্য যুদ্ধ করব না। আমি মোদিকে বলেছি, আপনি হাসিনাকে রাখতে পারেন, তবে তার বিরুদ্ধে আমাদের বিচার চলবে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, হাসিনাকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেয়া যাবে না, কারণ দেশে এখনো তার অনেক সমর্থক রয়েছে এবং তারা পূর্বের মতো পরিস্থিতি অস্থির করার চেষ্টা করতে পারে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “ভারত চাইলে বিনিয়োগ করতে পারে, যেমন চীনকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। যে কেউ বিনিয়োগ করতে পারে, এটি সুযোগের ব্যবহার মাত্র।”
