মার্কিন অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বিশেষ করে কর্মসংস্থানের জন্য বহুল ব্যবহৃত এইচ-১বি ভিসা এবং গ্রিনকার্ড নীতিতে সংস্কার আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য মার্কিন নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও নিয়ন্ত্রিত করা।
এই পরিবর্তনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশি কর্মীদের ওপর বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, বর্তমান এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থা “খুবই বাজে” কারণ এতে মার্কিন কর্মীদের তুলনায় বিদেশি কর্মীরা বেশি সুযোগ পাচ্ছেন। তার দাবি, এতদিন বড় বড় প্রতিষ্ঠান বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভর করেছে, কিন্তু এখন সময় এসেছে মার্কিন নাগরিকদের বেশি চাকরির সুযোগ দেওয়ার।
লুটনিক ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ট্রাম্প প্রশাসন চায় ভিসা ব্যবস্থায় মেধাবী ও উচ্চ আয়ের আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দিতে। বর্তমানে প্রচলিত লটারি পদ্ধতি বাতিল করে মজুরিভিত্তিক ভিসা ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে একজন নাগরিকের গড় আয় প্রায় ৭৫ হাজার ডলার, যেখানে গ্রিনকার্ডধারী বিদেশি কর্মীদের গড় আয় প্রায় ৬৬ হাজার ডলার। তাই এই ব্যবস্থাকে “সোনার কার্ড” প্রকল্পে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা চলছে, যাতে বিশ্বের সেরা মেধাবীরা যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান আইন অনুযায়ী, গ্রিনকার্ডের আবেদন করতে হলে অবশ্যই এইচ-১বি ভিসাধারী হতে হয়। ফলে এই সংস্কার সরাসরি গ্রিনকার্ড প্রক্রিয়াতেও প্রভাব ফেলবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে ভারতীয় নাগরিকরা, কারণ বর্তমানে এইচ-১বি ভিসাধারীদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই ভারতীয়।