উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় আটক, নির্যাতন ও অপহরণের শিকার ১৭৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। আগের দিন তারা ত্রিপোলি থেকে রওনা দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় এই বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানো হয়।
আইওএম-এর সহায়তায় লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে কাজ করছে দূতাবাস। এর ধারাবাহিকতায় ত্রিপোলির তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি থাকা ১৭৬ জনকে যাচাই-বাছাই ও ট্রাভেল পারমিট ইস্যুর পর দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়। রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে দূতাবাসের প্রতিনিধি দল তাদের বিদায় জানান।
অনিয়মিত অভিবাসনের ঝুঁকি তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবার ও সমাজও ভোগান্তিতে পড়ে, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। তিনি প্রত্যাবাসিতদের নিজ এলাকায় সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানান এবং মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেন।
দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ৫ হাজার ৮৭৮ জন বাংলাদেশিকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে অন্তত ১০ হাজার বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আইওএম জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে তাদের কর্মসূচির আওতায় লিবিয়া থেকে এক লাখের বেশি অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, যার মূল অর্থায়নে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরও কয়েকটি দেশ।