চাকসু নির্বাচন: ৯ প্যানেল ঘোষণা, সরগরম ক্যাম্পাস

cu chakshu election

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্যানেল ঘোষণা করেছে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। বৃহস্পতিবার দিনভর নতুন সাতটি প্যানেল সামনে আসার পর মোট প্যানেলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়টিতে। এর আগে শনিবার ও রোববার দুটি প্যানেল ঘোষণা হয়েছিল।

আগামী ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সপ্তম চাকসু নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ৫৯ বছরে এর আগে মাত্র ছয়বার অনুষ্ঠিত হয়েছে এই ভোট। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ৯৩১ শিক্ষার্থী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন—এর মধ্যে ৪২৯ জন কেন্দ্রীয় সংসদে এবং ৩৫৬ জন হল সংসদে।

নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, রোববার মনোনয়ন যাচাই-বাছাই, সোমবার খসড়া তালিকা প্রকাশ এবং মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে বৃহস্পতিবার।

প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রে চার প্যানেল

অনেক প্যানেল থাকলেও শীর্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে চার প্যানেলের মধ্যে—জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘সম্প্রীতি শিক্ষার্থী জোট’, দুই বাম সংগঠনের ‘দ্রোহ পর্ষদ’, এবং ১০ সংগঠনের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’। এদের প্রার্থীরা আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন এবং ক্যাম্পাসে পরিচিত মুখ হিসেবে বিবেচিত।

  • ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন (দর্শন বিভাগ), জিএস শাফায়াত হোসেন (ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগ)।
  • ছাত্রশিবিরের ভিপি ইব্রাহিম হোসেন (ইতিহাস বিভাগ এমফিল), জিএস সাঈদ বিন হাবিব (ইতিহাস বিভাগ)।
  • বাম সংগঠনের ‘দ্রোহ পর্ষদ’-এর ভিপি ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ (নাট্যকলা বিভাগ), জিএস ইফাজ উদ্দিন (ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স)।
  • ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’-র ভিপি ধ্রুব বড়ুয়া (বাংলা বিভাগ), জিএস সুদর্শন চাকমা (বাংলা বিভাগ)।

শিবিরের প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্যপদে লড়বেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আকাশ দাশ (সমাজতত্ত্ব বিভাগ)।

অন্যান্য প্যানেল

দিনের মধ্যে ঘোষিত বাকি প্যানেলগুলো হলো—সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ (ইসলামী ছাত্র আন্দোলন), স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট (স্যাড ও ছাত্র ফেডারেশন), এবং ক্লাব অ্যালায়েন্স। এর আগে ছাত্র অধিকার জানিয়েছিল ‘চাকসু ফর র‌্যাপিড চেঞ্জ’ নামের প্যানেল, আর সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ প্যানেল হলো ‘দ্রোহ পর্ষদ’।

ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা এমন নেতৃত্ব চান, যারা আবাসন সংকট, নিম্নমানের খাবার, পরিবহন সমস্যা এবং সহিংসতা বন্ধে কাজ করবে। তারা দলীয় বিবেচনার চেয়ে প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতা ও কর্মতৎপরতা দেখে ভোট দিতে চান।

শাহজালাল হলের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা এমন নেতৃত্ব চাই যারা চাঁদাবাজি বা দখল রাজনীতি নয়, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করবে।”