জাতিসংঘ অধিবেশনের আগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও কানাডা
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর ঠিক আগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও এই তিন দেশ ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র মর্যাদার পক্ষে দাঁড়াল।
মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত ‘শান্তি প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে না’ বলে তারা অস্ট্রেলিয়াকে সতর্ক করেছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতি ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার রবিবার এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলেন,
“শান্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনর্জীবিত করতে যুক্তরাজ্য আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি না মানার কারণে যুক্তরাজ্য তাদের নীতি পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছে। এটি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের রদবদল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ঘোষণা দেন, “কানাডা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উভয়ের জন্য শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, এটি ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার’ সমান। তবে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা যুক্তি দিয়ে বলেন, দীর্ঘমেয়াদি শান্তির সম্ভাবনা ধরে রাখতে এটি তাদের নৈতিক দায়িত্ব।
জাতিসংঘের সর্বশেষ এক তদন্ত প্রতিবেদনে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় সহিংসতা, দুর্ভিক্ষ এবং পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। যুক্তরাজ্যের বিচারমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, পশ্চিম তীরে অব্যাহত বসতি সম্প্রসারণের কারণে কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আশা বিপন্ন হচ্ছিল, তাই এই স্বীকৃতি ছিল ‘কী ফ্যাক্টর’।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান এবং বলেন, ফিলিস্তিনের ভবিষ্যত শাসন ব্যবস্থায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।