ফিলিস্তিন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সমর্থনের স্রোত আরও জোরদার হচ্ছে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার পর এবার ইউরোপের দেশ পর্তুগালও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রাঞ্জেল। তিনি জানান, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া পর্তুগালের পররাষ্ট্র নীতির ধারাবাহিক ও অপরিহার্য অংশ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র কার্যকর উপায় হলো দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান।”
একই সঙ্গে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান তিনি। হামাস যেন গাজায় বা এর বাইরে কোনো নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারে, সে দাবি করেন পর্তুগিজ মন্ত্রী। পাশাপাশি সব জিম্মির দ্রুত মুক্তির কথাও উল্লেখ করেন।
পাওলো রাঞ্জেল আরও বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মানে এই নয় যে চলমান মানবিক বিপর্যয় শেষ হয়ে গেছে। বরং এই সিদ্ধান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর দিকনির্দেশনা তৈরি করবে।
তার বক্তব্যে গাজা উপত্যকায় চলমান দুর্ভিক্ষ, ধ্বংসযজ্ঞ এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণেরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। তার মতে, এসব পদক্ষেপ শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জীবনকে আরও অনিশ্চিত করছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।”