বিসিবি নির্বাচন: তামিম ইকবালের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে বিতর্ক

tamim iqbal bcb election

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাব থেকে কাউন্সিলরশিপ পাওয়া তামিমের বিপক্ষে সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহ’র নামে আপত্তিপত্র জমা পড়েছে। তবে হালিম নিজেই জানিয়েছেন, তিনি কোনো আপত্তিপত্র দেননি।

বিসিবি নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে প্রায় ৩০টি অভিযোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমানও কাউন্সিলরশিপ পাননি। বুধবার মিরপুর স্টেডিয়ামে বঞ্চিত অনেক সংগঠক আপত্তিপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এসব আপত্তির শুনানি হবে।

ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাব থেকে তামিমের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে আপত্তিপত্রে দাবি করা হয়েছে— তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেননি, তাই বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি কাউন্সিলর হতে পারেন না। পাশাপাশি বলা হয়েছে, তামিম ক্লাবটির সদস্য নন এবং তাকে কাউন্সিলর করার সিদ্ধান্তও হয়নি।

তবে বাস্তবতা হলো, তামিম ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক এবং তাকে কাউন্সিলর করার চিঠিতে ক্লাব সভাপতি খালেদ মাহমুদ স্বাক্ষর করেছেন। অন্যদিকে, সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের বিপক্ষে দেরিতে কাউন্সিলরশিপ জমা দেওয়ার অভিযোগে ১০টি আপত্তি পড়েছে।

সাবেক পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এখন সব কিছু সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে হচ্ছে। বোর্ডে যেটা পাশ হবে, সেটাই ফাইনাল।”

এছাড়া ঢাকা ক্লাব অরগানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব সৈয়দ বোরহানুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “ব্লুস ক্রিকেটার্স, গোল্ডেন ঈগল স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমি ও স্পার্টনস ক্রিকেট ক্লাবের বেআইনি কমিটির অন্তর্ভুক্তি বাতিলপূর্বক অনুমোদিত কমিটিকে পুনরায় বহাল করতে হবে।”

৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বিসিবির নির্বাচন। তবে নির্বাচন কমিশন ১৫ ক্লাব ও ছয় জেলা থেকে কাউন্সিলরশিপ বাতিল করায় নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের ইঙ্গিতেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।