পর্তুগালের সংসদে দ্বিতীয়বারের মতো অনুমোদন পেল বহুল আলোচিত বিদেশি আইন (Foreigners Law)। এবারও দক্ষিণপন্থী দলগুলোর সমর্থনে আইনটি পাস হয়, যদিও বামপন্থী দলগুলো তীব্রভাবে বিরোধিতা করেছে।
রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো দে সোসা প্রথমবার এই আইনে কিছু সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছিলেন। এবার সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে আইনটিকে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে বলে দাবি সরকারের। সংবিধান আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিরাও নতুন সংস্করণকে গ্রহণযোগ্য মনে করছেন।
অভিবাসীদের জন্য এই আইন নতুন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে হাজার হাজার অভিবাসী AIMA (Agency for Integration, Migrations and Asylum) অফিসের বাইরে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রের জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছে।
নতুন আইনের মূল দিকগুলো:
- পরিবার পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে সময়সীমা কমানো হয়েছে।
- স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক প্রমাণের জন্য ন্যূনতম এক বছরের একসাথে থাকার শর্ত রাখা হয়েছে।
- প্রতিবন্ধী সন্তানের দায়িত্বে থাকলে পরিবার পুনর্মিলন দ্রুত অনুমোদিত হবে।
- জোরপূর্বক বিয়ে, নাবালক বিয়ে বা বহুবিবাহ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই যথাযথ আবাসন ও পরিবারের ভরণ-পোষণের আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে।
এছাড়া, চেগা (CHEGA) দল শর্ত দিয়েছিল—অভিবাসীরা বৈধ কাগজপত্র পাওয়ার পর পাঁচ বছর পর্যন্ত কোনো সামাজিক ভাতা পাবে না। যদিও এই শর্ত সরাসরি আইনে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তবে সরকার এ বিষয়ে আলাদা একটি আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আজকের ভোট শেষে লিসবনে মধ্যাহ্নভোজ সভায় প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো বলেন, “আমরা বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং তাদের দেওয়া কিছু প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করেছি। এটি ইতিবাচক অগ্রগতি।”
এখন দেখা বাকি, রাষ্ট্রপতি মার্সেলো কবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আইন অনুমোদন দেন।