উত্তর মরক্কোর পাহাড়ের ওপর দিয়ে একটি প্যারাগ্লাইডে চড়ে ধীরে ধীরে আকাশে ভেসে যাচ্ছেন একজন ব্যক্তি—এমন একটি ভিডিও শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্পেনের স্থানীয় গণমাধ্যম সেউটা আকচুলিদাদ জানিয়েছে, ওই প্যারাগ্লাইডটি স্পেনের ছোট উপকূলীয় শহর সেউটার দিকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ইউরোপের সবচেয়ে কড়া সীমান্তগুলোর একটি অতিক্রমের এক নতুন কৌশল হতে পারে।
স্পেনের কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, প্যারাগ্লাইডারটি মরক্কোর ইয়াবেল মুসা পর্বতের ওপর দিয়ে উড়ে সেউটার বেনজু এলাকায় প্রবেশ করে। বিষয়টি স্পেনের আকাশসীমায় অনধিকার প্রবেশ হিসেবে ধরা পড়ে, এবং সঙ্গে সঙ্গেই সতর্কতা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পেনের গার্ডিয়া সিভিল বাহিনী সিদি ইব্রাহিম এলাকার কাছে প্যারাগ্লাইডটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। তবে চালকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ধারণা, তিনি উত্তর আফ্রিকার কোনো দেশের নাগরিক হতে পারেন।
সমুদ্র ও স্থলপথে কড়া নজরদারি এড়াতে এ ধরনের প্যারাগ্লাইড ব্যবহার অত্যন্ত বিরল হলেও, ঘটনাটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে অভিবাসীরা সীমান্ত অতিক্রমের জন্য নতুন নতুন উপায় খুঁজে নিচ্ছেন।
এখন শুধু মাটি বা সমুদ্র নয়, আকাশও হয়ে উঠছে রুট। বিষয়টি সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার সক্ষমতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপমুখী অভিবাসন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। অনেকেই সমুদ্রপথে বিপজ্জনক যাত্রা করে, কেউ সেউটা ও মেলিলিয়ার কাঁটাতারের বেড়া টপকে, আবার কেউ এই ঘটনার মতো আকাশপথে প্রবেশের ঝুঁকি নিচ্ছেন—সবই ভালো জীবনের আশায়।
প্যারাগ্লাইডারের এই ঘটনা স্পেনের সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি দুর্বল দিক উন্মোচন করেছে। ক্যামেরা দিয়ে যাত্রার গতিপথ শনাক্ত করা গেলেও অভিবাসীর প্রবেশ ঠেকানো যায়নি। ফলে মাদ্রিদ এখন আকাশপথে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিবেচনা করছে।