পর্তুগালে বর্তমানে “দশ হাজারেরও বেশি” অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় অভিবাসন ও সীমান্ত ইউনিটের (UNEF) প্রধান ও জাতীয় পুলিশের (PSP) উপপরিচালক জোয়াও রিবেইরো।
পর্তুগিজ সংবাদসংস্থা লুসা–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের দেশে হাজার হাজার মানুষ অবৈধভাবে বসবাস করছে,”
কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো সরল ধরনের ঘটনা—“হয়তো অভিজ্ঞতার অভাবে, হয়তো নিষ্ক্রিয়তার কারণে, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর জটিলতায়, কিংবা প্রয়োজনীয় নথি জমা না দেওয়ার জন্য, অথবা নির্দিষ্ট পরিস্থিতির প্রমাণ উপস্থাপন না করায় এমনটি হয়েছে।”
রিবেইরো বলেন, “এখন আমাদের একটি বেশি সমন্বিত কাঠামো আছে নিয়মিত অভিবাসনের ক্ষেত্রে।”
তিনি জানান, অনেক বিদেশি নাগরিক পূর্বে “এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট” বা আগ্রহ প্রকাশের মাধ্যমে বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করতেন—যা ২০২৪ সালের জুন মাসে বাতিল করা হয়েছে। অনেকেই এই প্রক্রিয়া ছাড়া দেশটিতে এসেছেন এবং কোনো নিবন্ধন সম্পূর্ণ করেননি।
রিবেইরো জানান, এই অনিয়মিত অভিবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই ব্রাজিল, ভারতীয় উপমহাদেশ—অর্থাৎ ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে এসেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, এই সংখ্যাটি “AIMA–এর বিপুল পরিমাণ মামলার চাপের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা PSP–এর জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।” জোয়াও রিবেইরো বলেন, অভিবাসীদের একটি অংশ জাল নথি ও ভুয়া কর্মচুক্তি ব্যবহার করে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, “আমরা অনেক জাল চুক্তি শনাক্ত করেছি—যেগুলো কাল্পনিক কোম্পানির নামে তৈরি। CPLP (Community of Portuguese Speaking Countries) দেশের কিছু নাগরিক এভাবে পর্তুগালে কাজের উদ্দেশ্যে প্রবেশের চেষ্টা করছেন।”
কেউ কেউ স্বীকার করেছেন যে, এই জাল নথি সংগ্রহের জন্য অর্থ প্রদান করেছেন। রিবেইরোর মতে, অনেকেই পর্তুগালকে ইউরোপে প্রবেশের “গেটওয়ে” হিসেবে ব্যবহার করছেন।
