পর্তুগালের কোস্তা দা কাপারিকায় বাংলাদেশি যুবক ছুরিকাঘাতে হত্যা

shamim hossain killed costa da caparic

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের উপকণ্ঠ কোস্তা দা কাপারিকায় এক বাংলাদেশি যুবককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম শামীম হোসেন (৩৫)। তার বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় বলে জানা গেছে। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত প্রায় ১১টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, শামীম হোসেন স্থানীয় এক ফাস্টফুড রেস্তোরাঁয় কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সেদিনও তিনি সাইকেল চালিয়ে কাজে যান। কিছুক্ষণ পর এক আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ব্যক্তি তার সাইকেলটি চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শামীম তাকে ধাওয়া করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি পেছন ফিরে শামীমের বুকে ছুরি মারেন এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। ঘটনাস্থলেই শামীম মারা যান।

পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে অভিযান চলছে।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশি সমাজে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কমিউনিটির সদস্যরা বলেছেন, “এটি এক ভয়াবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। একজন পরিশ্রমী যুবকের জীবন এভাবে শেষ হওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

তারা পর্তুগিজ সরকারের কাছে দোষীর দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি অভিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

কমিউনিটি নেতারা বলেন, “সরকারকে এখন ঘৃণা বা অভিবাসীবিরোধী মনোভাব ছড়ানোর পরিবর্তে জীবন রক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। প্রত্যেক মানুষ—পর্তুগিজ হোক বা অভিবাসী—সমানভাবে নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাওয়ার অধিকার রাখে।”

শেষে তারা আরও যোগ করেন, “প্রতিটি জীবনই মূল্যবান। আমরা সবাই এই সমাজের অংশ। এখন প্রয়োজন ঐক্য ও মানবিকতা, নয় বিদ্বেষ ও বিভাজন।”