সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইনের মুখোমুখি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান।
শনিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক সমাবেশে এ আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, জনগণ সেটা মেনে নেবে না। শেখ হাসিনাকে ফেরত দিন এবং তাকে আইনের মুখোমুখি করুন।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “কিছু শক্তি এমনভাবে কাজ করছে যারা ১৯৭১ সালের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চায়। তারা শুধুমাত্র জুলাই আন্দোলনকে বড় করে দেখাতে চায়। অথচ আমরা ২০০৯ সাল থেকে ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য সংগ্রাম করেছি। আমাদের অনেক সহযোদ্ধা গুম ও খুন হয়েছেন, কিন্তু আমরা থামিনি।”
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ফ্যাসিবাদী দানবীয় রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছিল, আর বিএনপি সেই রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধেই সংগ্রাম করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কিছু শক্তি এখন বিভক্তি আনতে চায়। তারা ১৯৭১ সালের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আমরা ভুলব না, কারণ ১৯৭১-ই আমাদের জন্মের ঠিকানা।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনের পক্ষে। আমরা গণঅভ্যুত্থানের পরই তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলাম। এখন কিছু অপশক্তি নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করছে।”
তিনি আরও জানান, “জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হবে—এটা ঘোষণা হয়েছে। গণভোটও একই দিনে হলে খরচ কমবে। তাই আমরা চাই নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হোক।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ দলটির শীর্ষ নেতারা।
