বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজ বাসায় তলব করে মনোনয়ন দিয়েছেন সিলেটের বহুল আলোচিত বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে তাকে সিলেট-৪ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সূত্র জানায়, রাত ১০টা পর্যন্ত চেয়ারপারসনের গুলশান বাসভবনে বৈঠক চলে। সেখানে খালেদা জিয়ার নির্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশগ্রহণে সম্মত হন।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন,
“চেয়ারপারসন আমাদের জাতীয় মুরুব্বী। তার নির্দেশ আমি কখনোই অমান্য করিনি, করবও না। সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার আদেশ মাথা পেতে মেনে নিয়েছি। সব আল্লাহর ইচ্ছা।”
এর আগে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) কেন্দ্রের জরুরি তলবে ঢাকায় যান তিনি। সেখানে একাধিক দফা বৈঠকের পর বুধবার রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
আরিফুল হক চৌধুরী আগে সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তবে সেখানে বিএনপি খন্দকার মুক্তাদিরকে প্রার্থী ঘোষণা করে। এরপর তাকে ডেকে সিলেট-৪ আসনের মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আরিফুল হক চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী
১৯৫৯ সালের ২৩ নভেম্বর সিলেটের কুমারপাড়ার বিশিষ্ট চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আরিফুল হক চৌধুরী। পিতা মুহাম্মদ শফিকুল হক চৌধুরী ও মাতা আমিনা বেগম।
স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে তিনি ওয়ার্ড কমিশনার ও পরবর্তীতে উন্নয়ন কমিটির প্রধান হন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় তাকে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়, তবে ২০১৩ সালে তিনি খালাস পান।
২০১৩ ও ২০১৮ সালে তিনি সিলেট সিটির মেয়র নির্বাচিত হন, যেখানে দুবারই আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে পরাজিত করেন। মেয়র হিসেবে নগরীর অবকাঠামো, পানি সরবরাহ ও নাগরিক সেবায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন।
বর্তমানে তিনি বিএনপির জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা ও সিলেটের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত।
