পর্তুগালে আইনজীবীদের অভিযোগ নিষ্পত্তিতে নতুন অনলাইন চ্যানেল চালু

lisbon court aima

লিসবন: পর্তুগিজ বার অ্যাসোসিয়েশন (OA) আইনজীবীদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি ও প্রশাসনিক জটিলতা কমাতে নতুন একটি অনলাইন চ্যানেল চালু করেছে। এই চ্যানেলের মাধ্যমে আইনজীবীরা সরাসরি অভিযোগ ও পরামর্শ জমা দিতে পারবেন, যা OA একত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান AIMA (Agency for Integration, Migration and Asylum)-এর কাছে পাঠাবে।

OA–এর সভাপতি জোয়াও মাসানো (João Massano) সংবাদ সংস্থা লুসাকে (Lusa) জানান, “এই চ্যানেলের মূল উদ্দেশ্য হলো আইনজীবী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করা, যাতে উভয় পক্ষের মধ্যে থাকা চাপ ও অস্বস্তি কিছুটা লাঘব হয়।”

তিনি আরও জানান, “দুটি সরকারি সংস্থা রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের অভিযোগের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি — প্রথমে AIMA এবং এরপর IRN (Institute of Registries and Notaries) ও ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস।”

নতুন এই অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে OA আইনজীবীদের অভিযোগ সংগ্রহ করে একত্রে AIMA-তে প্রেরণ করবে। প্রতিটি আইনজীবীর নির্দিষ্ট পোর্টাল এলাকায় একটি ফর্মের মাধ্যমে অভিযোগ জমা দেওয়া যাবে।

মাসানো বলেন, “AIMA–এর সমস্যা নতুনভাবে বৃদ্ধি পায়নি, তবে এখনই এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত সময় ছিল।”

তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে AIMA–সংক্রান্ত মামলাগুলোর কারণে প্রশাসনিক আদালতগুলো ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে, কারণ সংস্থার পক্ষ থেকে সময়মতো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
“যখন একজন আইনজীবীকে কোনো সরকারি সংস্থার জবাব পেতে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়, তখন বোঝা যায় — সেই জনসেবা সঠিকভাবে কাজ করছে না,” বলেন মাসানো।

মামলা কমানোর উদ্যোগ

OA সভাপতি আশা করছেন, এই চ্যানেলটি আইনি মামলা কমাতে সহায়তা করবে।
“চ্যানেলটির লক্ষ্য শুধু আইনজীবীদের অধিকার বা প্রাধিকার লঙ্ঘনের নির্দিষ্ট ঘটনাগুলো শনাক্ত করা নয়, বরং বিভিন্ন AIMA অফিসের মধ্যে প্রক্রিয়ার সামঞ্জস্যও নিশ্চিত করা,” তিনি ব্যাখ্যা করেন।

তিনি উদাহরণ দেন, “ধরুন, কোনো দ্বীপ অঞ্চলের AIMA অফিস একটি নির্দিষ্ট নথি গ্রহণ করছে, কিন্তু মূল ভূখণ্ডের অফিস সেটি গ্রহণ করছে না। এমনটা বাস্তবেই ঘটে, যা অযৌক্তিক।”

OA–এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই প্রতিষ্ঠান মিলে একটি স্থায়ী যোগাযোগ চ্যানেল তৈরি করেছে, যাতে আইনজীবীরা ক্ষেত্রভিত্তিক সমস্যা, অধিকার লঙ্ঘন বা আঞ্চলিক প্রক্রিয়ার অসঙ্গতি সম্পর্কে তথ্য ভাগ করে নিতে পারেন।

বার অ্যাসোসিয়েশন আরও জানিয়েছে, “প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতাকে আমরা আমাদের প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি হিসেবে দেখি। এর মাধ্যমে জনসেবার মানোন্নয়ন হবে এবং নাগরিকদের এসব সেবায় সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”