মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসা নীতির মূল লক্ষ্য হলো বিদেশী শ্রমিকদের উপর দীর্ঘমেয়াদী নির্ভরতা কমিয়ে উচ্চ-দক্ষ চাকরির ক্ষেত্রে আমেরিকানদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। প্রশাসন সাময়িকভাবে দক্ষ বিদেশী কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে আনবে যেখানে দেশীয় কর্মী তাত্ক্ষণিকভাবে নেই।
ট্রাম্প প্রশাসন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য কোম্পানির বিদেশি কর্মী নিয়োগে এইচ-১বি ভিসার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ চালু করলেও, প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমেরিকায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেধাবী মানুষকে আনা দরকার।”
এদিকে, ভারতীয় পেশাজীবীরাই এইচ-১বি ভিসার সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছে, ২৫ সেপ্টেম্বরের পরে জমা দেওয়া নতুন এইচ-১বি আবেদনগুলোর জন্য অতিরিক্ত ১,০০,০০০ মার্কিন ডলার ফি প্রযোজ্য হবে। তবে এই নীতি পূর্বের আবেদন বা বর্তমান ভিসাধারীদের প্রযোজ্য হবে না।
পররাষ্ট্র দপ্তর স্পষ্ট করেছে, নতুন ফি কেবল সেই ব্যক্তি বা কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য যারা ২০২৬ সালের লটারিতে অংশ নিতে বা ২১ সেপ্টেম্বরের পরে নতুন আবেদন জমা দিতে চায়। নতুন এই নীতি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থা ও উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
