হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: ভারতের প্রতিক্রিয়া ও হস্তান্তরের আহ্বান বাংলাদেশের

india statement hasina verdict

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে—
“সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঘোষিত রায়ের বিষয়ে ভারত অবগত। একটি নিকট প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার সর্বোত্তম স্বার্থে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সব সময় সব অংশীজনের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকব।”

রায় ঘোষণার পরই বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ভারত থেকে হস্তান্তরের আহ্বান জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়—
“মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তিদের দ্বিতীয় কোনো দেশ আশ্রয় দিলে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার শামিল। আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন অনতিবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে।”

বাংলাদেশ আরও জানায় যে—
দুই দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্তদের হস্তান্তর ভারতের ‘অবশ্যপালনীয় দায়িত্ব’।

গত বছর জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ ট্রাইব্যুনাল-১

  • শেখ হাসিনাকে তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও দুটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড,
  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড,
  • এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকার এর আগেও তাকে হস্তান্তরের অনুরোধ করলেও ভারত এখনো এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি।