আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে ডিসিদের (জেলা প্রশাসক) বাদ দিয়ে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের মধ্য থেকেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, “রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আপনাদের (ইসি) মধ্যে থেকে নিয়োগ দিন।”
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ সংলাপ শুরু হয়। সংলাপে বিএনপিসহ আরও অংশ নেয়—বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি) এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মার্কসবাদী।
সংলাপে বক্তব্য দিতে গিয়ে মঈন খান বলেন,
“বাংলাদেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সময় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নিয়মকানুন মেনে নির্বাচন করব, আচরণবিধি মেনে চলব। কিন্তু দায়িত্ব পালনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, প্রার্থীর অঙ্গীকারনামা আগে ছিল না; এবার যুক্ত হওয়ায় এটি জটিলতা বাড়াতে পারে। তিনি ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করার বিষয়েও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান দাবি করেন,
“স্বৈরাচারের দোসরদের সাথে ইসির সংলাপ করা উচিত হয়নি। তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন,
“অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা যেন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন—ইসি সে ব্যবস্থা নেবে।”
সংলাপের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন,
“আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
তিনি দলগুলোকে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে অনুপ্রেরণা দেওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া প্রথম অধিবেশনে ইসির সংলাপে অংশ নেয়—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টি (বিএমজেপি), ইনসানিয়ত বিপ্লব, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)।
নির্বাচন কমিশন দুই ধাপে রাজনৈতিক দলের মতামত গ্রহণ করছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
