বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা ও তাঁর উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় তাঁকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করেছে সরকার। তাঁর নির্বিঘ্ন চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও যাতায়াত-সুবিধা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তী সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ যমুনার সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বিবৃতিটি পড়ে শোনান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয় এবং জাতির কাছে তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হাসপাতালে তাঁর নির্বিঘ্ন চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি, তাঁর নিরাপত্তা ও যাতায়াতের বিষয়গুলো জোর দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিভিআইপি মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার প্রেসিডেন্টের নির্দেশে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করা হয়।
বর্তমানে বার্ধক্যজনিত জটিলতা ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর নিরাপত্তায় হাসপাতাল চত্বরে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এবং প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ভিভিআইপি প্রটোকলের অংশ হিসেবে তারা গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।
