ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী খাসিফ আল হামুদি বাংলাদেশের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বুধবার ঢাকাস্থ ইউএই দূতাবাসে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন–এর সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত আল হামুদি বলেন, মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়নে ইউএই সবসময় সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখবে। তিনি মাদরাসা শিক্ষা খাতে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়ন, সমুদ্রবন্দর আধুনিকায়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক খাতে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত আল হামুদি দৈনিক ইনকিলাবের ইসলামের পক্ষে অটল ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং দেশের প্রতি দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত গণমাধ্যম হিসেবে ইনকিলাবের অবদানকে সম্মান জানান। তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এবং তাঁর সঙ্গে ইউএইর প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানসহ আমিরাতের শাসক পরিবারের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব।
বৈঠকে সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন দেশের বর্তমান ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলে ধরেন এবং চলমান গাজা যুদ্ধ–পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের প্রতি আমিরাতের দৃঢ় অবস্থানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বাংলাদেশ–ইউএই ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক জোরদারে ইনকিলাবের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
সাক্ষাতে জমিয়াত সভাপতিও বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোয় ইউএই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউএই থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
রাষ্ট্রদূত আল হামুদি জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের দীর্ঘদিনের মাদরাসা শিক্ষায় অবদানের প্রশংসা করে বলেন যে, তিনি সংগঠনটির কার্যক্রম ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। যেকোনো বিষয়ে তিনি সংগঠনটির পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং মাদরাসা খাতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
