২০২৪ সালে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন সাকিব আল হাসান। লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শেষে তাঁর অ্যাকশনকে ত্রুটিপূর্ণ ঘোষণা করে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় বোলিং নিষিদ্ধ করে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সেই ধারাবাহিকতায় আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ হয়।
তবে চলতি বছরের মার্চে লাফবরোতেই দ্বিতীয়বার অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হন তিনি। আর সেই নিষেধাজ্ঞা ও পরীক্ষার গল্পই খোলামেলা জানালেন সাকিব আল হাসান। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ইউটিউব চ্যানেল ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’-এ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটার হাশিম আমলার সঞ্চালনায় এক পডকাস্টে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি।
সেখানে সাকিব বলেন, ‘কিছুটা ইচ্ছা করেই আমি এটা করেছিলাম। কারণ সেই ম্যাচে আমি ৭০ ওভারের বেশি বোলিং করেছিলাম। টেস্ট ম্যাচেও কখনো এত ওভার বল করিনি। টনটনে সমারসেটের বিপক্ষে সারের হয়ে চার দিনের ম্যাচটি খেলছিলাম। খুবই ক্লান্ত ছিলাম।’
তিনি জানান, পাকিস্তানে পরপর দুটি টেস্ট খেলে সিরিজ জয়ের পর ইংল্যান্ডে গিয়ে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে নামতেই শরীর ভেঙে আসছিল। সাকিব বলেন, ‘আম্পায়ার চাইলে আমাকে আগেই সতর্ক করতে পারতেন। তবে নিয়ম তাদের হাতে, তাই তারা যা করেছেন তা করার অধিকারই ছিল। আমি কোনো অভিযোগ করিনি।’
পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর নিজের ভুল খুঁজে পাওয়া নিয়েও কথা বলেন এই অলরাউন্ডার। তাঁর ভাষায়, ‘পরীক্ষার কাগজ দেখে ভাবলাম—ঠিক আছে, এগুলোই হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ অনুশীলন করতে হতো। তাই আবার সারেতে ফিরে যাই। তারা আমাকে দারুণভাবে সাহায্য করেছে। মাত্র দুই সেশন কাজ করার পর সব ঠিক হয়ে গেল। তখন মনে হলো—আরে, এটা তো খুবই সহজ!’
এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে সাকিব জানালেন, ক্লান্তি থেকে আসা ভুল তাঁকে সাময়িকভাবে পথভ্রষ্ট করলেও দ্রুতই সংশোধন করেছেন নিজের বোলিং অ্যাকশন।
