জাতীয় কবি নজরুলের সমাধির পাশে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির চিরনিদ্রা

Sharif Osman Hadi burial du nazrul grave

জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশেই তাকে দাফন করা হয়।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছায়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলের সামনের গেট দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি প্রবেশ করানো হয়।

লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর ছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, সাদিক কায়েমসহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধারা। অ্যাম্বুলেন্সটি আসার প্রায় পাঁচ মিনিট পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান কেন্দ্রীয় মসজিদের ভেতর দিয়ে দাফনস্থলে প্রবেশ করেন।

এর আগে শনিবার দুপুর আড়াইটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজাস্থলে উপস্থিত জনতা এবং টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার দেখা মানুষদের অনেককেই আবেগাপ্লুত ও অশ্রুসিক্ত হতে দেখা যায়।

লাখো মানুষের অংশগ্রহণে রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা সম্পন্ন হয়। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ পড়ান তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

শহীদ ওসমান হাদির জানাজাকে ঘিরে সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ঢল নামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ জনগণের জন্য দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়। আর্চওয়ে গেট দিয়ে ছাত্র-জনতা দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করে জানাজায় অংশ নেন।