জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করা অপরাধীদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে চায় সুইডেন

Sweden seeks to remove citizenship

সুইডেন এমন নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য সংবিধান পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে, যারা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধে জড়িত বা প্রতারণার মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন।

এই প্রস্তাব অনুযায়ী, গুপ্তচরবৃত্তি, রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত দ্বৈত নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে যারা ঘুষ বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তারাও এই আইনের আওতায় পড়বেন। আগামী বছর পার্লামেন্টে এ প্রস্তাব পাসের জন্য তোলা হবে এবং এটি ২০২৬ সালের জুন মাস থেকে কার্যকর হতে পারে।

বর্তমানে সুইডেনের সংবিধানে নাগরিকত্ব বাতিলের সুযোগ নেই। তবে বিচারমন্ত্রী গুনার স্ট্রমার জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, “সুইডেন বর্তমানে সহিংস চরমপন্থা, শত্রুভাবাপন্ন রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপ এবং সংগঠিত অপরাধের মতো তিনটি গুরুতর নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে।”

মাইগ্রেশন মন্ত্রী জোহান ফোরসেল জানিয়েছেন, গত বছর প্রায় ৬০০ ব্যক্তি, যাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তারা সুইডেনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন।

একসময় অভিবাসীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত সুইডেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা এনেছে। ২০১৬ সালে যেখানে ৮৬,০০০ এরও বেশি আশ্রয়প্রার্থী এবং তাদের আত্মীয়দের জন্য রেসিডেন্স পারমিট দেওয়া হয়েছিল, গত বছর সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬,২৫০।

সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হলে এখন থেকে অভিবাসীদের পাঁচ বছরের পরিবর্তে আট বছর দেশটিতে বসবাস করতে হবে।

“আমরা এমন একটি সুইডেন তৈরি করতে চাই, যেখানে নাগরিকত্বের গুরুত্ব অনেক বেশি,” বলেন মাইগ্রেশন মন্ত্রী ফোরসেল।