কানাডার লিবারেল পার্টির নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি, যা তাকে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে অভিষিক্ত করেছে। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হবেন।
মার্ক কার্নি এর পূর্বে ব্যাংক অব কানাডা (২০০৮-২০১৩) এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (২০১৩-২০২০) গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা তাকে অর্থনৈতিক বিষয়ে গভীর জ্ঞান প্রদান করেছে। তবে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।
কার্নি এমন সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন যখন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক উত্তপ্ত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডিয়ান পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক আরোপ করেছেন, যা কানাডার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কার্নি এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পাল্টা শুল্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।
লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনে কার্নি ৮৫.৯% ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, যা তার জনপ্রিয়তা ও দলের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করে। তিনি কানাডার পশ্চিমাঞ্চল থেকে প্রথম লিবারেল প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
কার্নি আগামীতে একটি দ্রুত সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন, যা তার বর্তমান জনপ্রিয়তা ও দলের পুনর্জাগরণকে কাজে লাগাতে সহায়তা করবে। তার লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের উত্তেজনা মোকাবিলা করা এবং কানাডার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা।
মার্ক কার্নির জন্ম ১৯৬৫ সালের ১৬ মার্চ নর্থওয়েস্ট টেরিটরিজের ফোর্ট স্মিথে এবং তিনি এডমন্টনে বেড়ে উঠেছেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার স্ত্রী ডায়ানা ব্রিটিশ নাগরিক, এবং তাদের চার কন্যা সন্তান রয়েছে।
কার্নির নেতৃত্বে কানাডা একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে, যেখানে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
