ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি: শনিবার বিক্ষোভ, রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ

Anti-discrimination-student-movement-in-Sylhet

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামীকাল শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া আগামী রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি শুরু হবে বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে।

আন্দোলনকারীদের দাবি, শিক্ষায় সুযোগের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে হবে এবং কোটা ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। তারা আরও জানিয়েছে, সরকার যদি তাদের দাবি না মানে, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে। ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা’ দাবিতে এই কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে ফেসবুকে লাইভে এসে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশ ফর স্পিকার্স অব আদার ল্যাঙ্গুয়েজেস বিভাগের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই সময়ে আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তাঁর ফেসবুকে এই কর্মসূচির কথা নিশ্চিত করেন।

হান্নানের অভিযোগ, সরকার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করছে এবং আন্দোলনকারীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “ঢাকার উত্তরা, খুলনা, হবিগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও সিলেটে আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরিয়েছেন। নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। সরকার কীভাবে ক্ষমতায় থাকছে, আমরা বুঝতে পারছি না।”

সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য আহ্বান জানানো হলেও হান্নান তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, “আজ সকাল থেকে পরিবারসহ গণভবনে গিয়ে দেখা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি।”

সর্বাত্মক অসহযোগের অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা সরকারকে কোনো কর দিবেন না, বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল দিবেন না এবং সরকারি-বেসরকারি সব কার্যালয় বন্ধ রাখবেন। হান্নান বলেন, “এই সরকারকে কোনো কর দেওয়া হবে না, বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল দেওয়া হবে না, সচিবালয় ও সরকারি-বেসরকারি সব কার্যালয় বন্ধ থাকবে, গণভবন-বঙ্গভবনে কোনো গাড়ি ঢুকবে না। এই সরকারকে সর্বাত্মক অসহযোগিতা করা হবে। এই সরকার যেন আর না থাকতে পারে, সে জন্য সবাইকে এসব কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান তিনি।”

এই ঘোষণার পর থেকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আন্দোলন দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।