বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকার ভাটারা থানার সামনে এনামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস আজ শনিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। শুনানি শেষে তাকে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের এজলাসে হাজির হন অপু বিশ্বাস। এ সময় তার পরনে ছিল লাল বোরকা, মাথায় সাদা হিজাব এবং মুখে কালো মাস্ক। আদালতের পেছনের বেঞ্চে বসে থেকে শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়ান তিনি।
শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করে বিচারক বলেন, “মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখে অবশ্যই হাজির থাকতে হবে।”
আদালত থেকে বের হয়ে অপু বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, “আমি একজন অভিনয়শিল্পী, অভিনয় আমার পেশা। রাজনীতি আমি বুঝি না, করিও না। আইনের বিষয়ে আমার আইনজীবীরা যত্নশীলভাবে দেখছেন। আমি আইন মেনে আদালতের সামনে হাজির হয়েছি।”
অপু বিশ্বাসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল বাশার কামরুল জানান, গত ২ জুন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন অপু। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি আজ সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানির পর আদালত তা মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই অপু বিশ্বাস আদালতে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করেছিলেন। এই মামলায় একইসঙ্গে অভিযুক্ত আরেক অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গত ১৮ মে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। দুই দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৯ জুলাই ভাটারা থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন এনামুল হকসহ অনেকেই। সে সময় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয় এবং এনামুল হক গুলিবিদ্ধ হন।
পরে তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত তিন-চারশ জনকে আসামি করে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার ২০৮ নম্বর আসামি হিসেবে নাম রয়েছে অপু বিশ্বাসের। এছাড়া অভিনেত্রী আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, জায়েদ খানসহ ১৭ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীকেও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান নেন এবং আর্থিক সহায়তাও দেন।