ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হামলা এবং বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে গতকাল সোমবার রাতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশি প্রবাসীদের অন্যতম কেন্দ্র লিসবনের একটি রেস্তোরাঁয় এই সভায় সভাপতিত্ব করেন পর্তুগালপ্রবাসী বিশিষ্ট নেতা আবদুল হাকিম মিনহাজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ আহমদ প্রিন্স। সভায় দল-মত নির্বিশেষে কমিউনিটির সব স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আবদুল হাকিম মিনহাজ বলেন, “দেশ রক্ষার প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না। আমাদের পতাকা আমাদের সম্মানের প্রতীক। আমরা প্রবাসে থেকেও দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ রয়েছি।”
পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রনি মোহাম্মদ বলেন, “দেশের স্বার্থ রক্ষায় আমরা প্রবাসীরা অতীতে সোচ্চার ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব। ভারত প্রতিবেশীসুলভ আচরণ না করলে এর জবাব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেওয়া হবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি নেতা মোশারফ হোসাইন, সাজিদুল আলম সাজিদ, সাইফুল হক, আফতাব আহমেদ ভূঁইয়া, আজমল আহমদ, আমিরুল ইসলাম নয়ন, হাফিজ আল আসাদ, মইনুল হক, এহছানুর রহমান ইরাক, ফরহাদ আহমদ তারেক, মোহাম্মদ আমান, আবদুল লতিফ, শেখ ফরিদ, তানভীর আহমদ রনি, নুরুল আলাম, আশরাফ হোসাইন, হেলাল উদ্দীন, মিজানুর রহমান, শোয়েব চৌধুরী এবং এসএম কাউছারসহ অনেকে।
ভারতের ত্রিপুরায় সহকারী হাইকমিশনের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি ও কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতৃত্বে। তারা সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে সেটিতে আগুন দেয় এবং স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়।
হামলার কারণ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চলছে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভারতের কিছু মিডিয়া এটি নিয়ে মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এই মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বাংলাদেশের সম্মান রক্ষায় আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা কামনা করেন। সভা শেষে তারা দেশের স্বার্থে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।