রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে এমন এক ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র ও আচমকা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সকালে হঠাৎই মাটি কেঁপে ওঠে, ঘরবাড়ির জিনিসপত্র নড়ে বসে এবং ভয়ে মানুষ ঘর থেকে ছুটে রাস্তায় বের হয়ে আসেন। প্রথমে ভূমিকম্পের মাত্রা কম মনে হলেও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কাঁপন তীব্রতা বাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদী।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ও মাত্রা জানতে সিসমোলজিস্টরা জরুরি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছেন। তবে রাজধানীবাসীর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, এতটা হঠাৎ ও শক্তিশালী কাঁপন এর আগে খুব কমই অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে এবং সবাইকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে নির্দেশ দিয়েছে।
ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন মারা যান বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি রাফিউল ইসলাম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন জানান, ভূমিকম্পের সময় কসাইটুলি এলাকার একটি ভবনের রেলিং ধসে পড়ে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁরা তখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিভিন্ন জেলা ও হাসপাতাল থেকে টেলিফোনে হতাহতের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
