কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের টিম হোটেলেও হামলার চেষ্টা

Bangladesh football team nepal protest

নেপালে চলমান সহিংস বিক্ষোভের মধ্যে কাঠমান্ডুর টিম হোটেলেও হামলার চেষ্টা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। দুই দিন ধরে তারা প্রায় বন্দিদশায় রয়েছেন ক্রাউন ইম্পেরিয়াল হোটেলে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্দোলনকারীরা হোটেলের গেট ভাঙচুর ও ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত তারা সরে যায়। জাতীয় দলের স্ট্রাইকার সুমন রেজা বলেন, “দুপুরের দিকে আন্দোলনকারীরা হোটেলের গেট ভাঙচুরের চেষ্টা করে। কয়েকজন ভেতরে ঢোকারও চেষ্টা করে। এসব দেখে খুব ভয় লেগেছিল।”

এদিকে অনুশীলনের জন্য হোটেল ছাড়তে পারেননি ফুটবলাররা। মঙ্গলবার তাদের ফেরার নির্ধারিত ফ্লাইটও বাতিল হয়ে যায়। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় দেশে ফেরার অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে।

রাইট উইঙ্গার শাহরিয়ার ইমন জানান, “আমরা ভালো আছি, তবে টেনশন কাজ করছে। বাইরের অবস্থা ভালো নয়। এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখান থেকে যেতে পারলেই হয়।” ডিফেন্ডার তাজ উদ্দিনও একই মত প্রকাশ করে বলেন, “এই পরিস্থিতিতে এখানে থাকাটাই চিন্তার বিষয়।”

গোলকিপার সুজন হোসেন জানান, তার মা–বাবা দেশে বসে দুশ্চিন্তায় আছেন। “আমি মাকে বলেছি চিন্তা করার কিছু নেই, আমরা ভালো আছি।” লেফটব্যাক ইসা ফয়সাল বলেন, হোটেলের পাশেই এক সংসদ সদস্যের বাসভবনে ভাঙচুর হয়েছে, এর প্রভাব পড়েছে আশপাশেও। নতুন ডাক পাওয়া আবদুল্লাহ ওমর যোগ করেন, “কল্পনায়ও ছিল না খেলতে এসে এমন কিছু দেখতে হবে।”

বাংলাদেশ দলটি ৩ সেপ্টেম্বর নেপালে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে যায়। প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হলেও সহিংসতার কারণে দ্বিতীয় ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেছে।