দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন, যেখানে স্থানীয় উৎপাদন মাত্র ৩ লাখ টন। ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করে, যার প্রধান উৎস দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
গেল আগস্টে মার্কিন বাজার থেকে কিছু খাদ্যপণ্য কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংস্থা ইউএসএসইসি’র সঙ্গে ১ বিলিয়ন ডলারের সয়াবিন আমদানি চুক্তি সই করেছে দেশের শীর্ষ ভোজ্যতেল প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান সিটি, মেঘনা ও ডেল্টা গ্রুপ।
ইউএসএসইসির সিইও কেভিন এম রোপকে বলেন, “সয়াবিন রফতানি ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করবে।”
সিটি গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হাসান বলেন,
“কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা ও খাদ্য নিরাপত্তায় এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এগিয়ে নিতে পারস্পরিক লাভজনক। বাংলাদেশের খাদ্য ও তেলের সরবরাহ ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি ইতিবাচক হবে।”
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল বলেন,
“চুক্তির ফলে বাংলাদেশের ভোক্তারা প্রতিযোগিতামূলক দামে সয়াবিন পাবেন।”
ডেল্টা গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আমিরুল হক বলেন,
“এই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে নতুন গতি আনবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন,
“বাংলাদেশের বাজারে যুক্তরাষ্ট্র এখন বিলিয়ন ডলারের রফতানি সহযোগী। ভবিষ্যতে দুদেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।”
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫০ কোটি ডলার আমদানি করেছে, বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৬২৬ কোটি ডলার।
