শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ১৬ রান। হাতে উইকেট ৪টি। পরিস্থিতি তখনও টানটান। তবে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ভর করে সহজেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ওভারে টানা দুই ছক্কায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় টাইগাররা। এরপর রিশাদ হোসেনের ব্যাটে আসে বাউন্ডারি। ফলে ৮ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশ পৌঁছে যায় লক্ষ্যে। শারজাহতে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
আফগানিস্তানের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দেন শতরানের উদ্বোধনী জুটি। তামিম ৫১ এবং ইমন ৫৪ রান করেন।
তবে একসময় ৫১ বলে দরকার ছিল মাত্র ৪৩ রান, হাতে ছিল সবকটি উইকেট। অথচ পরের কয়েক ওভারে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে একে একে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলি অনিক ও তানজিম সাকিব। মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে হারায় ৬ উইকেট।
অবস্থা যখন টালমাটাল, তখন শান্তভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন নুরুল হাসান সোহান ও রিশাদ হোসেন। শেষদিকে সোহান ১৩ বলে ২৩ এবং রিশাদ ৯ বলে অপরাজিত ১৪ রান করে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে। এছাড়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই করেন ১৮ বলে ১৮। শেষদিকে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নবি। তাসকিন আহমেদের এক ওভারেই হাঁকান তিন ছক্কা। তবে শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৩৮ রানে ফিরতে হয় তাকে। শরাফুদ্দিন আশরাফ অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ১৭ রান করে।
বাংলাদেশের হয়ে নাসুম আহমেদ বল হাতে শুরুতে দেন ব্রেক-থ্রু। ইব্রাহিম জাদরানকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাটারদের দৃঢ়তায় শারজাহতে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয় টাইগাররা।