আন্তর্জাতিক সিরিজ মানেই আলাদা গুরুত্ব। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ হওয়া সিরিজটিতে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য ছিল আসন্ন এশিয়া কাপের প্রস্তুতি। তিন ম্যাচে জয়, বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া শেষ ম্যাচ— সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাসের ডালপালা মেলাচ্ছে টাইগাররা।
শেষ টি–টোয়েন্টিতে পাঁচটি পরিবর্তন এনে দল পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ হারায়নি। এতে একে একে ব্যাটিং–বোলিংয়ে অবদান রেখেছেন স্কোয়াডের প্রায় সবাই।
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সাইফ হাসান। দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে প্রথম ম্যাচেই ব্যাট–বল দুই হাতেই ছাপ রাখেন। নাসুম আহমেদের এক ম্যাচেই ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স, তানজিম হাসানের দুই উইকেট কিংবা নুরুল হাসানের ক্যামিও— প্রতিটি অবদান এশিয়া কাপের আগে নির্বাচকদের জন্য স্বস্তির।
নিয়মিতদের মধ্যে আলোকিত ছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। প্রথম দুই ম্যাচে অপরাজিত ইনিংসের পর শেষ ম্যাচে ৭৩ রানের ঝলক দেখান। সিরিজসেরা হয়ে পুরো টুর্নামেন্টে দলের নেতৃত্বে দৃঢ়তার প্রমাণ রাখলেন তিনি।
তাসকিন আহমেদ প্রথম ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন, অন্যদিকে দলীয় পারফরম্যান্সে শুরু থেকেই ছিল দাপট। যদিও শেষ ম্যাচ বৃষ্টিতে শেষ হওয়ায় বোলারদের পরীক্ষা পুরোপুরি হয়নি, তবুও লিটন দাস আত্মবিশ্বাসী— “প্র্যাকটিস গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু ম্যাচে ডেলিভার করাটাই আসল। আমরা এখন প্রস্তুত।”
টানা তিন সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস, শ্রীলঙ্কা–পাকিস্তানের পর এবার নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে এশিয়া কাপে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি, পারফরম্যান্স আর মানসিক দৃঢ়তা— সবকিছুর মিশেলে এবার বড় টুর্নামেন্টে ‘কিছু করে দেখানোর’ ইঙ্গিত স্পষ্ট।