ব্যাট হাতে যেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা টাইমিংয়ের সঙ্গে লড়াই করছিলেন, সেখানেই যেন শো চলল কুসাল মেন্ডিস ও পাতুম নিশাঙ্কার। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কান দুই ওপেনারের ঝড়ে ৭ উইকেটের সহজ জয়ে সিরিজ শুরু করল শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ১৯ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে, হাতে থাকে ৬ বল। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান তোলে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন, ২২ বলে করেন ৩৮ রান। নাঈম শেখ করেন ৩২ রান (২৯ বল), মিরাজ করেন ২৩ বলে ২৯। বাকিরা ছিলেন অনেকটাই নিষ্প্রভ। অধিনায়ক লিটন ১১ বলে মাত্র ৬ রান করে বিদায় নেন।
শেষদিকে শামীম হোসেনের ৫ বলে দুটি ছক্কায় ১৪ রানে দল ১৫০’র ঘর পেরোয়।
পাওয়ার প্লে শেষে দলের রান ছিল ৫৩/১। তবে এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে গতি হারায় ইনিংস। পারভেজের আউটের পর এক প্রকার ধস নামে।
পাল্টা জবাবে শুরুতেই ঝড় তোলে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার। নিশাঙ্কা ১৬ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, মারেন ৫ চার ও ৩ ছক্কা। তার সঙ্গে ৪.৪ ওভারে ৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন কুসাল মেন্ডিস।
মেন্ডিস এরপর ইনিংসের ধারা ধরে রাখেন এবং ৩১ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। জয়ের জন্য যখন ১৪ বলে ৬ রান দরকার, তখন ক্রিজে ছিলেন আভিষ্কা ফার্নান্ডো ও অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। শেষ হাসি হাসেন তারাই, আসালাঙ্কা ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটও ছিল বিবর্ণ। তাসকিন, তানজিমরা রান দিয়ে গেছেন হাত খুলে। সবচেয়ে কিপটে ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ (৪-০-২৪-১) এবং রিশাদ হোসেন (৪-০-২৪-১)। একাদশে ফেরা সাইফউদ্দিন নিয়েছেন একটি উইকেট।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন কুশল মেন্ডিস, তার ৭৩ রানের ধৈর্যশীল কিন্তু আক্রমণাত্মক ইনিংস লঙ্কানদের জয় এনে দেয় সহজেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৫৪/৫ (২০ ওভার)
শ্রীলঙ্কা: ১৫৯/৩ (১৯ ওভার)
ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ অবস্থা: শ্রীলঙ্কা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কুশল মেন্ডিস (৭৩ রান)